সাংবাদিক সমাজ ও সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় চিরবিদায় নিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন আহমেদ আলম। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বাদ জোহর নামাজে জানাজা শেষে তাকে যশোর কারবালা কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় প্রিয় সংগঠন প্রেসক্লাব যশোর প্রাঙ্গণে। সেখানে সহকর্মী, সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন সংবাদপত্র ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম শ্রদ্ধা জানান প্রেসক্লাব সদস্যরা। এরপর একে একে যশোর সংবাদপত্র পরিষদ, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং যশোর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা ফুল দিয়ে শেষ বিদায় জানান প্রিয় সহকর্মীকে।
পরে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার শেষ কর্মস্থল দৈনিক সত্যপাঠের কার্যালয়ে। সেখানে সহকর্মীরা ও শুভানুধ্যায়ীরা তাঁকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান। উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।
বাদ জোহর আব্দুস সামাদ মেমোরিয়াল অ্যাকাডেমি মাঠে অনুষ্ঠিত হয় নামাজে জানাজা। এতে অংশ নেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জাসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি রবিউল আলম, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ইকবাল কবির জাহিদ, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, প্রেসক্লাব যশোর ও সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ।
উল্লেখ্য, সৈয়দ শাহাবুদ্দিন আহমেদ আলম বুধবার (২১ মে) বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি ছিলেন দৈনিক সত্যপাঠের নির্বাহী সম্পাদক, প্রেসক্লাব যশোর ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটির একজন সক্রিয় সদস্য। সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটির মৃত্যুতে সাংবাদিক মহলসহ যশোরের সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নেমে আসে শোকের ছায়া।