পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানায় গোলাগুলি, ২ কারিগর গ্রেফতার

মহেশখালী : কক্সবাজারের মহেশখালীর পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানায় অভিযানকালে র‌্যাব ও সন্ত্রাসীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় কারখানা থেকে ২০টি বন্দুক, বিপুলসংখ্যক গুলি ও অস্ত্র বানানোর যন্ত্রপাতিসহ দুজন কারিগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত অভিযানের পর ওই কারখানা থেকে ২০টি বন্দুক, বন্দুকের বিপুলসংখ্যক গুলি ও অস্ত্র বানানোর যন্ত্রপাতিসহ দুজন কারিগরকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- আব্দুল হাকিম (৩৮) ও মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ (৩১)।

জানা যায়, চট্টগ্রামস্থ র‌্যাব-৭ ও র‌্যাবের কক্সবাজার ক্যাম্পের বিপুলসংখ্যক সদস্য ওই অভিযানে অংশ নেন। রাত ৮টায় শুরু হওয়া এই অভিযান রোববার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শেষ হয়। এ সময় র‌্যাব-সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা র‌্যাব-৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান যুগান্তরকে জানান, র‌্যাবের কাছে তথ্য ছিল- মহেশখালীর পাহাড়ের গহীনে বনের ভেতর বন্দুক তৈরির কারখানা রয়েছে।

স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সমন্বয়ে বেশ কিছুসংখ্যক কারিগর এতে অস্ত্র বানানোর কাজ করেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রামস্থ র‌্যাব-৭ এখানে অভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হয়।

শনিবার সকাল থেকে র‌্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে এলাকায় অবস্থান নেন। রাত ৮টার পর থেকে শুরু হয় চূড়ান্ত অভিযান।

এ মিশনে র‌্যাব মূলত দুই জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। প্রথমে কালারমার ছড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় র‌্যাব বন্দুক বানানোর দুই কারিগরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দ্বিতীয় দফায় অভিযান শুরু করে র‌্যাব।

এ সময় কালারমার ছড়া ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের গহীনে বনের ভেতর অস্ত্র কারখানায় অভিযান চালানো হয়। তখন বেশ কয়েকজন কারিগর ওই কারখানায় বন্দুক বানানোর কাজ করছিল।

র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্র কারখানা থেকে র‌্যাবের অভিযান দলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা।

র‌্যাব সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় কারিগরদের অনেকেই কারখানা ফেলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে সেখান থেকে ২০টি বন্দুক, ২৪ রাউন্ড তাজা গুলি, বন্দুক বানানোর যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, রোববার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে অভিযান সমাপ্ত হওয়ার পর গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অস্ত্র, গুলি ও সরঞ্জামসহ তাদের মহেশখালী থানায় সোপর্দ করা হবে।

এটি একটি বড় অভিযান ছিল এবং এই অভিযানে বিপুলসংখ্যক র‌্যাব সদস্য অংশ নেন বলে জানান র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা।