তিন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

ডেস্ক রিপোর্ট: কুমিল্লা, বরগুনা ও সাতক্ষীরায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ও শনিবার ভোরে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

কুমিল্লা
কুমিল্লায় র‌্যাব-বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২৭ মামলার আসামি সহিদুল ইসলাম ওরফে সবু মিয়া নামে শীর্ষ এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নগরীর কাপ্তানবাজার সংলগ্ন গোমতী বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সবু মিয়া জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার একবালিয়া গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে।

এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলিসহ বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, শুক্রবার রাতে মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে র‌্যাব এবং বিজিবির পৃথক টহল টিম নগরীর কাপ্তানবাজার সংলগ্ন গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাব-বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় মাদক ব্যবসায়ীরা। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব পাল্টা গুলি ছুড়লে সহিদুল ইসলাম (৪০) আহত হন। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুমিল্লাস্থ র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আতাউর রহমান জানান, সহিদুল ইসলাম সবু একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদকের ২০টিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৭টি মামলা রয়েছে।

বরগুনা
বরগুনার পাথরঘাটায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক জলদস্যু নিহত হয়েছেন। শনিবার ভোরে পাথরঘাটার সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদীর মাঝেরচর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম কাজল। তবে তার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বলেশ্বর নদীর সুন্দরবন সংলগ্ন মাঝেরচর এলাকায় জলদস্যুদের অবস্থানের খবর পেয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব-৮। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে জলদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্যরা। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে জলদস্যুরা পিছু হঁটলে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে জলদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্য কাজলের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে র‌্যাব। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবীর বলেন, নিহত জলদস্যু কাজলের মরদেহ পাথরঘাটা থানায় হস্তান্তর করবে র‌্যাব।

সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের হোতা রেজাউল ইসলাম ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে উপজেলার নুরনগর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহত রেজাউল ইসলাম (৪৫) শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের বাদঘাটা গ্রামের মাজেদ সরদারের ছেলে।

শ্যামনগর থানা পুলিশের ওসি মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, রেজাউল ইসলাম শ্যামনগর থানা চত্বর থেকে পুলিশের মোটরসাইকেল চুরি, শ্যামনগর সদরের আব্দুল্লাহেল বাকী অপহরণ মামলাসহ ৯ মামলার আসামি। তিন মাস ধরে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল রেজাউলকে গ্রেফতার করে শ্যামনগর থানায় সোপর্দ করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার রাতে উপজেলার নুরনগর এলাকায় মোটরসাইকেল উদ্ধারে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে রেজাউলের বাহিনী। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে রেজাউল নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।