এবার লেবাননকে বিধ্বস্ত করল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে কোনো বাধাই যে বড় নয় তার প্রমাণ হলো আরো একবার। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলে ‘এফ’ গ্রুপের বাছাইয়ে যে লেবাননকে শক্ত প্রতিপক্ষ মানা হচ্ছিল, সেই দলটাকে নিয়ে তো স্রেফ ছেলেখেলা করল বাংলাদেশের মেয়েরা। বুধবার নিজেদের মাঠে লেবাননকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করছে বাংলাদেশ।

এদিন কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয় দুই দলের লড়াই। প্রথমার্ধে ৫-০ গোলে এগিয়ে ছিল লাল-সবুজের মেয়েরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ১০-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। বাহরাইনের বিপক্ষে এই লেবাননও জিতেছিল ৮-০ গেলে। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে লেবানন গোল করছিল ১৪টি। তবে বাংলাদেশ যে আসলে লেবাননের চেয়ে ঢের এগিয়ে তার প্রমাণ মিলল এদিন। দুই ম্যাচে তাদের গোল ১৮টি।

এদিন জোড়া গোল করেছেন সাজেদা, তহুরা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র। একটি করে গোল করেছেন আনাই মগিনি ও রোজানা।

আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা আনুচিং মগিনিকে বাইরে রেখে এদিন প্রথম একাদশ সাজান বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। বদলে আগের ম্যাচে বদলি নেমে এক গোল করা সাজেদাকে রাখেন প্রথম একাদশে। সেই সাজেদার পায়েই এদিন গোল উৎসব শুরু বাংলার মেয়েদের।

১৪ মিনিটে সাজেদার গোলে প্রথম লিড নেয় বাংলাদেশ। ১৯ মিনিটে তহুরা খাতুন ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। চার মিনিট পরই নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেন বাহরাইনের বিপক্ষে এক গোল করা তহুরা। ফলে ৩-০ তে লিড পায় বাংলাদেশের মেয়েরা।

২৬ মিনিটে আনাই মগিনি ব্যবধান ৪-০ করেন। ৪০ মিনিটে সাজেদা নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করলে ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। সে ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতি থেকে ফিরে মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে গোল করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। ৬১ মিনিটে এই ফরোয়ার্ড নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করলে বাংলাদেশ পায় ৭-০ গোলের লিড। প্রথম ম্যাচেও জোড়া গোল করেছিলেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।

হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকলেও এরপর শামসুন্নাহারকে তুলে নেন বাংলাদেশ কোচ। তুলে নেন জোড়া গোল করা তহুরাকেও। তহুরার পরিবর্তে রোজিনা আর শামসুন্নাহার জুনিয়রের পরিবর্তে ইলামনিকে মাঠে নামানো হয়।

৭৩ মিনিটে বদলি নামা রোজিনা গোল আদায় করলে ৮-০ গোলের লিড পায় বাংলাদেশ।

আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছে বাংলাদেশ গোলরক্ষক রুপনা চাকমাকে। নিজেদের ব্যাক পাস থেকেই যে কয়েকবার বল পেলেন তিনি। এই দুপুরের রোদে দর্শক হয়ে থাকতে নিশ্চয়ই বিরক্তই লাগছিল তার।

বাংলাদেশ শেষ দিকে আক্রমণভাগে একটু ভজঘট পাকিয়ে না ফেললে ব্যবধান বড় হতে পারত আরো। এতো গোল হজম করলেও কিছুটা কৃতিত্ব পেতে পারে লেবানন গোলরক্ষকও। দারুণ কিছু সেভ করছেন তিনি ম্যাচ জুড়ে।

বাংলাদেশ তাদের তৃতীয় ম্যাচ খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে।