আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর সংবাদ

aiub bacchu

না ফেরার দেশে বাংলাদেশের রক সংগীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চু। গত বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুবরণ করেন এই গায়ক, গীতিকার সুরকার তথা রকস্টার। তার মৃত্যুতে বাংলা সংগীত জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। দেশের বাইরেও আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর খবর গুরুত্বসহ প্রচার করেছে আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম। এগুলোতে উঠে এসেছে বাংলা রক গানে তার অর্জন ও কৃতিত্বের কথা।

জার্মানির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া কোম্পানি ডয়েচে ভেলের বাংলা সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে ‘আইয়ুব বাচ্চু একটা সবুজ বাংলা গান’ শীর্ষক প্রতিবেদন। ‘ভক্তদের কাঁদিয়ে ‘এবি’ উড়াল দিলেন আকাশে’ শিরোনামে আইয়ুব বাচ্চুর জীবনের বিভিন্ন স্থিরচিত্র নিয়ে একটি ফটো স্টোরি প্রকাশ করেছে ডয়েচে ভেলে।

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসির বাংলা সংস্করণ তাদের শিরোনামে লিখেছে ‘বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু মারা গেছেন: শনিবার চট্টগ্রামে দাফন’।

বিবিসি বাংলায় ‘বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যমে সংগীতশিল্পীদের প্রতিক্রিয়া’ শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় ছেপেছে, ‘চলে গেলেন বাংলাদেশি রক সংগীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চ’। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিপ্লবী রক গায়ক হিসেবে বাংলা গানে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি। আধুনিক, ধ্রুপদী ও লোকজ আঙ্গিকের গানে নতুন মাত্রা এনেছিলেন এই গুণী শিল্পী।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার আরেক প্রতিবেদনের শিরোনাম, ‘আইয়ুব বাচ্চুর প্রয়াণে শোকাহত বাংলাদেশ ও ভারত’। এতে কলকাতার সংগীতশিল্পী অনুপম রায়, সাহানা বাজপেয়ী, বিক্রম ঘোষের অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, প্রবুদ্ধ ব্যানার্জির শোকগাথা তুলে ধরা হয়েছে।

কলকাতার শীর্ষ বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজার লিখেছে ‘রুপালি গিটার ছেড়ে চলে গেলেন আইয়ুব বাচ্চু’। তারা উল্লেখ করেছে, ‘সবার কাছে আইয়ুব বাচ্চুর পরিচয় ছিল গিটারের জাদুকর।’

ভারতের দ্য টাইমস গ্রুপের ২৪ ঘণ্টার ইংরেজি নিউজ চ্যানেল টাইমস নাউ-এর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে, ৫৬ বছর বয়সে চলে গেলেন বাংলাদেশি রক সেনসেশন আইয়ুব বাচ্চু’। তাদের মন্তব্য, বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপমহাদেশে তুমুল জনপ্রিয়তা রয়েছে আইয়ুব বাচ্চুর।

ভারতের ওয়ান ইন্ডিয়ার বাংলা সংস্করণ শিরোনাম করেছে ‘মায়ের কবরের পাশে শায়িত থাকবে আয়ুবের শবদেহ, গায়কের মৃত্যু সংবাদে শোকাহত বাংলা’। এতে বলা হয়েছে, ‘রুপালি গিটার’ সত্যিই ফেলে চলে গেছেন আইয়ুব বাচ্চু।

কলকাতার এই সময় পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করেছে, ‘থেমে গেল ‘রুপালি গিটার’, চলে গেলেন আইয়ুব বাচ্চু’।