ঝিনাইদহে আ’লীগ-বিএনপির ১০১ প্রার্থীর দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

Jhenaidah map

ঝিনাইদহের ভোটের রাজনীতি এখন ঢাকা কেন্দ্রীক। আওয়ামীলীগ ও বিএনপির এমপি প্রার্থীরা এলাকা ছেড়ে সমর্থক নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন। মনোনয়ন চুড়ান্ত করেই তারা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ফিরবেন বলেও শোনা যাচ্ছে। রাজধানীর দলীয় অফিসের সামনে তারা সম্ভব্য এমপি প্রার্থীর পক্ষে শোডাউনে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। ফলে ভোটের মাঠ এখন ফাঁকা। তবে রাজনীতির রসায়ন তুঙ্গে রয়েছে চায়ের কাপ ও হাট বাজারের আড্ডায়। কে হচ্ছেন ঝিনাইদহের ৪টি সংসদীয় আসনের কান্ডারী ? এই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই।

“এই মাত্র খবর এলো অুমক ভাই নমিনেশন পেল” এমন মিছিলও শহর জুড়ে ক্ষনে ক্ষনে দেখা যাচ্ছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশের প্রধান দুইটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন চুড়ান্ত হয়নি। তারপরও গুজব আর শোনা কথার ডালাপালায় কান ঝালাপালা করে দিচ্ছে নেতা কর্মী এমনকি ভোটারদের। কারো কথায় তাদের আর আস্থা নেই। সাইবার দুনিয়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আজগুবি সব ভুয়া খবর। নেতাদের ছবি দিয়ে প্রচারিত খবরগুলো কেও বিশ্বাস করছেন আবার কেও প্রত্যাখান করে পাল্টা কমেন্টস জুড়ে দিচ্ছেন ফেসবুকে।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের চারটি আসনের বিপরীতে শুধুমাত্র আ’লীগ-বিএনপির ১০১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ঝিনাইদহের চারটি আসনে আ’লীগ ৫৯টি ও বিএনপি ৪২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগের ২৬ জন ও বিএনপির ৪ জন, ঝিনাইদহ-২ আসনে আওয়ামী লীগের ৮ জন ও বিএনপির ১৬ জন, ঝিনাইদহ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের ১৭ জন ও বিএনপির ১৬ জন এবং ঝিনাইদহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের ৮ জন ও বিএনপির ৬ জন দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
দল দুইটির নিজস্ব সুত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করা হলেও মুলত এখনো কোন দলের প্রার্থীকে গনসংযোগে নামতে দেখা যায়নি। একাধিক মামলায় ঐক্যফ্রন্ট ও ২৩ দলীয় জোটের নেতাকর্মী এমনকি সম্ভব্য প্রার্থীরা আদালতে হাজিরা দিয়ে সময় পার করছেন। কেও হুলিয়া আর গ্রেফতার আতংকে এলাকা ছাড়া। কেবল সরকারী দল আওয়ামীলীগই ভোটের মাঠের রাজনীতিতে সরব রয়েছে।