বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। কারণ হিসেবে তিনি নিজের অসুস্থতার কথা জানান।
শারীরিক অসুস্থতার কথা বলা হলেও অনেকে বলছেন, সম্পদ রক্ষার জন্য আলী আসগর লবি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন।
তবে তার পদত্যাগে খুলনায় বিএনপির রাজনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
গত ২৪ জানুয়ারি তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
এ সময়ে এসে পদত্যাগ করার বিষয়ে বিএনপির এ নেতা এবং ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি অসুস্থ। গত ১০ বছর ধরে আমি কোনো কিছুতে নাই।’
আলী আসগর বলেন, থাইরয়েডের ক্যানসারের অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তিনি রাজনীতির সঙ্গে নেই।
অন্য কোথাও যোগদান প্রসঙ্গে আলী আসগর জানান, আপাতত তিনি কোথাও যুক্ত হচ্ছেন না।
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আলী আসগর লবি অনেক বেশি পরিচিত হয়ে ওঠেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেড়ে দেয়া খুলনা-২ আসনে জিতে তিনি সাংসদ হন। সেই সময় ক্ষমতার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিল ‘হাওয়া ভবন’। বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখান থেকে দল পরিচালনা করতেন। লবি হাওয়া ভবনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জরুরি অবস্থায় গ্রেফতারের পর আলী আসগর লবির সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, স্থাবর-অস্থাবর অনেক সম্পদ এবং কয়েকটি গাড়িও জব্দ করে তৎকালীন সরকার। যার অনেক কিছুই এখনও তিনি ফিরে পাননি।
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ২০০৬ সালের পর থেকে ১৩ বছর বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না লবি। তাই তার পদত্যাগের কারণে খুলনা বিএনপিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।
তবে একাদশ জাতীয় সংসদের বিএনপি ‘ভরাডুবির’ কারণে লবি পদত্যাগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ব্যক্তিগত কারণে তিনি দল ছেড়েছেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় তিনি দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়েছিলেন। অনেক দিন দেশের বাইরেও ছিলেন। উনার ভক্তদের মুখ থেকেই শুনেছি, তিনি তার জব্দ করা সম্পদ রক্ষার জন্যই ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিএনপি ছেড়েছেন।