জামায়াতকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা এখন চ্যালেঞ্জ: নাসিম

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আমাদের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ হলো- সংসদের মাধ্যমে জামায়াতকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা। এ ব্যাপারে কোনও ছাড় দেয়া হবে না। বিএনপি যদি এখনও জামায়াতকে ত্যাগ না করে, তাহলে তারা চিরদিনের জন্য রাজনীতির মাঠে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আর তারা রাজনীতির মাঠে আসতে পারবে না।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সভায় মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, দেশের মানুষ যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে, সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা করে যাচ্ছি। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করে অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে ভোট দিয়েছে।

তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশের রাজনীতি প্রায় বিরোধী দলশূন্য। এর জন্য একমাত্র দায়ি বিএনপি।

জামায়াতে ইসলামীকে প্রশ্রয় দেয়ার কারণে বিএনপির এই অবস্থা মন্তব্য করে সাবেক মন্ত্রী নাসিম বলেন, বর্তমানে বিরোধী দলহীন রাজনীতির জন্য দায়ি বিএনপি নিজেই। সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াতকে প্রশ্রয় দেয়ায় তাদের এই অবস্থা। এবারের নির্বাচনে নারী-পুরুষ সবাই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। জামায়াতকে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে ছাড় দেয়ার কোনও সুযোগ নেই। বিএনপিকে স্পষ্ট করে বলতে হবে, তারা জামায়াতের সঙ্গে আছে কিনা। না হলে তারা চিরদিনের জন্য আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে স্মরণ করে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, প্রথম যখন আমি পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য হিসেবে আসি, তখন বক্তব্য কীভাবে দিতে হবে তা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কাছেই শিখেছিলাম। তিনি একজন যোগ্য পার্লামেন্টারিয়ান ছিলেন। তাকে আমাদের অনুসরণ করতে হবে।

অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক জেনিফা ফেরদৌস প্রমুখ।