খালেদা জিয়া অনেক অসুস্থ, তাঁর চিকিৎসা করা দরকার : ফখরুল

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনেক অসুস্থ। তাঁর রক্তপরীক্ষা করা হয়নি। তিনি ঠিকমতো চেয়ারের সঙ্গে ঘাড় সোজা করে রাখতে পারছেন না। আর বসতেও ওনার কষ্ট হচ্ছে। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার।

মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।

দুপুরে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে শুনানি হয়।

মোশারফ হোসেন কাজল এ বিষয়ে মির্জা ফখরুলকে বলেন, আজ কি চিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়েছে? আপনারা আবেদন করেন।

কাজল বলেন, আগেও তো এ বিষয়ে আদালত আদেশ দিয়েছেন। খালেদা জিয়াই তো যেতে চাননি। আবার আবেদন করেন, কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন আদালত।

পরে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘ম্যাডাম ঠিকভাবে মাথা রাখতে পারছেন না। সকালে ঘুম থেকে উঠে বমি করেছেন। তিনি খুবই অসুস্থ। তাঁর শরীরটা মোটেও ভালো যাচ্ছে না। সরকারের কাছে তাঁর সুচিকিৎসার দাবি করছি।’

এদিকে আজ খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ আদালতে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে হাজির করা হয়। এরপর খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।’

হান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী অভিযোগ গঠনের শুনানি করেন এবং এ মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে অব্যাহতির আবেদন করবেন বলে সময়ের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আগামী ১ এপ্রিল অব্যাহতির আবেদন না করলে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেবেন বলে জানান। এরপর খালেদা জিয়াকে পুনরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।’

২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর এ মামলায় খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে জামিন নেন।

এর আগে ২০১৭ সালের ১৮ জুন এ মামলাটি বিচারিক আদালতে চলবে বলে রায় দেন হাইকোর্ট।

মামলায় বলা হয়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম মামলা করেন। পরে ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।