যশোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত

যশোরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪জন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। নিহত লেগুনা চালক যশোর সদর উপজেলার জঙ্গলবাধাল গ্রামের সুলতান আহম্মেদের ছেলে শামিম আহম্মেদ (২০), রেগুনার যাত্রী যশোর সদরের কুয়াদা গ্রামের ঋষিকান্ত দাসের স্ত্রী শিউলিদাস (৪৫) মনিরামপুর উপজেলার গাবুখালি ঢাকুরিয়া গ্রামের সুবাস বৈরাগীর ছেলে সুব্রত বৈরাগী (২৫) ও বাইসাইকেল আরোহী অবসর প্রাপ্ত টিএন্ডটি কর্মকর্তা সদরের বলাডাঙ্গা কাজিপুরের এরশাদ আলী সরদারের ছেলে অলোক সরদার (৫৫)।

আহত যশোর সদরের কুয়াদা গ্রামের রতন দাসের ছেলে ঋষি কান্ত (৪০), ছেলে তন্ময় (৩), মনিরামপুর উপজেলার চাদোয়া গ্রমের হাফিজুর রহমানের ছেলে মাহামুদুর রহমান (১৮), যশোর সদরের রুপয়িা গ্রামের কমল কান্তির ছেলে সাগর (২৪), সদরের জিরাট গ্রামের আইয়ুব হোসেনের মেয়ে রহিমা বেগম (৪০), একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে হামিদুর রহমান (২৮), সদরের রুপদিয়া গ্রামের গনেশ (২৫), একই গ্রামের শাখাওয়াত হোসেনের ছেলে ছিয়াম (১০), ইকবাল হোসেনের ছেলে জুনায়েদ (৩), গোলাম হোসেনর ছেলে ইকরামুল (৩০) কে ২৫০ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত অন্যদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

বৃহস্পতিবার শহরের শংকরপুর ও সদর উপজেলার চাউলিয়া এলাকায় দুর্ঘটনাগুলি ঘটে।

জানাজায়, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া গামি গড়াই পরিবহনের একটি বাস শংকরপুরস্থ চাকলাদার পাম্পের সামনে সাইকেল আরোহী টিএন্ডটির সাবেক কর্মকর্তা অলোক সরদারকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, অলোক সরদার বাইসাইকেলে করে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় কুস্টিয়া গামি রুপসা পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে পিছন থেকে অলোক সরদারকে চাপা দেয়। দুর্ঘটনার পর বাসটি পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাড়া করে যশোর ঝিনাইদহ সড়কের বারো বাজারে বাসটি আটক করে। এসময় চালক পালিয়ে যায়।

আপর দিকে প্রায় একই সময় যশোর-খুলনা মহাসড়কের চাউলিয়া মোড়ে যশোর গামি লেগুনা ও খুলনা গামি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনা স্থলেই লেগুনা চালক শামিম নিহত হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান লেগুনার যাত্রি শিউল দাস ও সুব্রত বৈরাগি। এ ঘটনায় আরো অন্তত ৩০ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনার পর পুলিশ ট্রাকটি আটক করেছে।

জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহ উদ্দিন সিকদার নিহতদের দেখতে হাসপাতালে যান ও আহতদের চিকিৎসার কোঁজ খবর নেন। এসময় হাসপাতালের সুপার ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু উপস্থিত ছিলেন।