যশোরের অভয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী শ্রমিক লীগ। দুই প্রার্থীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। কে বিজয় মুকুট ছিনিয়ে আনবে তা দেখার অপেক্ষায় আছে উপজেলাবাসী। নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক পীরজাদা শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর। শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীরের সাথে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন জাতীয় শ্রমিক লীগের নওয়াপাড়া-রাজঘাট শিল্প অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক রবিন অধিকারী ব্যাচা।
শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীরকে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডে চুড়ান্ত করে। তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর মুক্তি যুদ্ধাকালিন গণ পরিষদের সদস্য, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য, পাঁচবার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য, যশোর জেলা পরিষদের প্রশাসক ও প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রয়াত শাহ হাদীউজ্জামান এর জেষ্ঠ্য পুত্র। শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, নওয়াপাড়া পৌরসভার প্রতিষ্ঠাকলিন দুইবার নির্বাচিত কমিশনার ছিলেন।
শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর আস্তা রেখে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করেছেন। আমি নির্বাচিত হলে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তাবায়নের জন্য আমরণ চেষ্টা করবো।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক, অভয়নগর উপজেলা থেকে মাদক, ঘুষ, দুর্নীতি জিরো টলারেন্সে নামিয়ে আনবো। সারে ভেজাল, খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করবো। সাধারন মানুষ যেন কোন কারণে পুলিশি হয়রানির শিকার না হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।
শ্রমিক লীগ নেতা রবিন অধিকারী ব্যাচা জাতীয় শ্রমিকলীগের নওয়াপাড়া-রাজঘাট শিল্প অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক, যশোর জেলা ট্রাক ও ট্রাংঙ্কলোরি ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এছাড়া তিনি নওয়াপাড়া পৌরসভার দুইবার নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য তিনি কাউন্সিলর পদ থেকে কিছুদিন আগে পদত্যাগ করেছেন। রবিন অধিাকারী ব্যাচা নির্বাচনী প্রচার অভিযানে ভোটাদের নানান প্রতিশ্রুত প্রদান করছেন।
তিনি বিভিন্ন পথ সভার বক্তব্যে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলে গরীব-দু:খীদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমরণ চেষ্টা করে যাবেন। তিনি ইতোপূর্বে অভয়নগর থেকে প্রশাসনের সহযোগিতায় কয়েকটি মাদক পয়েন্ট উচ্ছেদ করেছেন, সন্ত্রাসীদের পুলিশে দিয়েছেন। যার জন্য তিনি প্রশাসন থেকে ওয়ার্ড পেয়েছেন। তিনি নির্বাচিত হলে অভয়নগর থেকে মাদক, ভেজাল, সন্ত্রাসী নির্মুল করবেন বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করছেন।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাচন আগামী ৩১ মার্চ। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন ছয়জন প্রাথী। এরা হলেন- আব্দুর রউফ মোল্যা (টিয়া পাখি), আকতারুজ্জামান তারু (টিউবয়েল), মো: বিপুল শেখ(তালা), মো: আব্দুল মান্নান(চশমা), হুমায়ূন কবির মধু (উড়োজাহাজ), আতিয়ার রহমান বাবু(মাইক)।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তিন জন প্রাথী। তারা হলেন- ফরিদা বেগম (প্রজাপতি), মিনারা পারভীন (ফুটবল) ও ডা: সাফিয়া খানম (হাঁস)।
উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৯৪ হাজার ৪শ ৩৯ জন। নারী ও পুরুষ ভোটারের সংখ্যা প্রায় সমান সমান।