অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফনি আঘাত হানায় উড়িষ্যার পুরিতে আটকা পড়েন পশ্চিমবঙ্গের পর্যটক শুভ্রা হাজরা চৌধুরী। যদিও ঝড় শুরু হওয়ার আগেই তিনি উড়িষ্যাত ছাড়তে চেয়েছিলেন।
কিন্তু ট্রেনের টিকিট না পেয়ে বাধ্য হয়েই হোটেলে বসে ফনির বিষাক্ত ছোবলের দৃশ্য দেখতে হয়েছে তাকে।
শুক্রবার ভোর ৫টায় হাওয়ার শোঁ শোঁ আওয়াজে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন তিনি। এরপরই দেখতে থাকেন ফনির প্রলয়তাণ্ডব।-খবর আনন্দবাজারপত্রিকা অনলাইনের।
তিনি বলেন, কখনও হুড়মুড় করে কাচ ভেঙে পড়ার শব্দ পাচ্ছি, কখনও থরথর করে কেঁপে উঠছে ঘর।
‘খাটে শুয়ে বুঝতে পারছি, সেটা নড়ছে! আমি শুধু এক মনে জগন্নাথদেবকে ডেকে চলেছি,’ বললেন শুভ্রা।
সকাল থেকেই মেয়েকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হোটেলবন্দি থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দুপুরে যখন বের হলাম, দেখলাম হোটেল যেন তছনছ হয়ে গেছে। রিসেপশনও লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড়।
‘ফলস সিলিং ভেঙে মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে প্লাইউড কংক্রিটের টুকরা। বিরাট অ্যাকোরিয়ামের ওপরের ঢাকনা খুলে পানির মধ্যে পড়ে রয়েছে। ভিতরে খাবি খাচ্ছে রঙিন মাছগুলো।’
দুপুরে ঝড়ের গতি একটু কমলে নিচে নেমে দেখেন একতলায় যে কক্ষটিতে তিনি ছিলেন, সেটা কেউ যেন বুলডোজার চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, দেখি, সারা ঘর লণ্ডভণ্ড। জানালার শার্সি ভেঙে ছড়িয়ে রয়েছে। মেঝেতে পানি, বালি থইথই করছে।
কাজেই ঝড়ের এই তাণ্ডব তিনি কোনোদিন ভুলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন বর্ধমানের এই নারী পর্যটক।
ঝড়ের পূর্বাভাস আসার পর দলে দলে পর্যটকরা পুরী ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু ট্রেনের টিকিট না পাওয়ায় তাকে থেকে যেতে হয়েছে তাকে।
ঝড় আঘাত হানার আগে হোটেলের কর্মীরা তাদের তিন তলার পেছনের দিকের একটি কক্ষে নিয়ে গিয়েছিলেন।
Roof of AIIMS Bhubaneswar hostel was torn off amid cyclonic storm that hit Odisha on May 3. Many water tanks, street lights were damaged.#Fani #FaniCyclone #Odisha pic.twitter.com/1q1pVyfWIg
— Newsd (@GetNewsd) May 3, 2019