ফাইনাল বাতিলের ব্যাখ্যা দিলেন কাজী সালাউদ্দিন

বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল বাতিল নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে ক্রীড়াঙ্গনে। কেউ বলছেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে, কেউ বলছেন আয়োজকদের সিদ্ধান্ত ছিল উদ্দেশ্যমূলক।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসছে নানা ধরনের মন্তব্য। বাফুফের প্রশংসা চলছে, আবার দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাকে এক হাতও নিচ্ছেন অনেকে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার বিকেলে টুর্নামেন্টের ফাইনাল বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। আত্মপক্ষ সমর্থন করে বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ফাইনাল বাতিলের সিদ্ধান্ত সঠিকই ছিল।

ফাইনাল না হওয়াটা দুঃখজনক। আমার ভাষায় বলবো ‘এন্টি ক্লাইমেক্স’। এই ফাইনাল নিয়ে আমার চেয়ে উদগ্রীব এবং এক্সাইটেড কেউ ছিল না। হারজিত তো আছে। কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করছিলাম। বলেছিলাম, ‘আমি খুব দুশ্চিন্তায় আছি। আপনি ফাইনালে থাকবেন। যদি বাংলাদেশ সেমিফাইনালে হেরে যায়, সেটা দুঃখজনক হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমি তাতে মনে কিছু করি না। কারণ ফুটবলে তো হারজিত আছেই। এ জন্যই তো ফুটবল নাম্বার ওয়ান গেমস।’ চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে একটা একটা করে ম্যাচ জিতে ফাইনালে আসতে হয়। আমি মনে করি না যে, বাফুফে, কে-স্পোর্টস ও ফুটবলারদের চেয়ে অন্য কেউ বেশি এক্সাইটেড ছিল ফাইনাল নিয়ে। কিন্তু যেটা হয়েছে সেটা দুর্ভাগ্য ছাড়া কিছুই নয়’- আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় কাজী মো. সালাউদ্দিন।

বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘আবহাওয়া এমন হলো, সবাই আতঙ্কিত যে সাইক্লোন আঘাত করবে। সব জায়গা থেকে খবর আসছে সাইক্লোন আঘাত করতে যাচ্ছে। দেশের এক লাখের বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে। সর্বক্ষেত্র থেকে প্রস্তুতি চলছিল ঘূর্ণিঝড় আঘাত করলে কীভাবে ত্রাণ নিয়ে সহায়তা করা হবে। এমন অবস্থায় মাঠে আমরা ফুটবল উৎসব করতে পারি না। এ সিদ্ধান্ত পুরো জাতির। এটা আমার একার সিদ্ধান্ত নয়।’

মাঠ খেলার অনুপযুক্ত ছিল উল্লেখ করে কাজী সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘একটা বিষয় বলবো, মাঠ খেলার উপযুক্ত ছিল না। যদিও বাইরে থেকে মাঠ দেখতে ভালোই লাগছিল। আজও টেকনিক্যাল স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, মাঠ খেলার উপযুক্ত ছিল না। তারপরও ফাইনাল আয়োজন করে দিতে পারতাম ওই মাঠেই। কিন্তু দেশের এমন একটা পরিস্থিতিতে আমি বিদেশি দলের সঙ্গে ফুরফুরে মেজাজে ফাইনাল আয়োজন করবো, সেটা মানসিক দিক দিয়ে সম্ভব ছিল না। আল্লাহ না করুক, রাতে যদি বজ্রপাতসহ অন্য দুর্ঘটনা ঘটতো, তাহলে আপনারাই আমাকে বলতেন কেন আমি এ অবস্থায় খেলা আয়োজন করলাম।’