জামদানি, ইলিশ পাঠিয়ে স্বার্থ রক্ষা হয়নি: সাইফুল

ভারতের সঙ্গে কূটনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলে আন্তর্জাতিক নীতি অনুযায়ী দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে সমঝোতার মাধ্যমে জাতীয় রক্ষার উপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওর্য়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগের দিন বুধবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

সাইফুল হক বলেন, “অনেকদিন পর দেখলাম, এবার পূজাকে সামনে রেখে ভারতকে নাকি ৫০০ টন ইলিশ দেওয়া হয়েছে। নিশ্চয়ই বন্ধুর বাড়িতে ফল পাঠানো বা মাছ পাঠানো আমাদের সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে।

“কিন্তু আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, জামদানির শাড়ি আর ইলিশ মাছের কূটনীতি দিয়ে আমরা কিন্তু এ পর্যন্ত আমাদের জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ করতে পারিনি।”

এবার দুর্গাপূজা সামনে রেখে শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে ভারতে ৫০০ টন ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে প্রথম চালান চলে গেছে।

এর আগে ২০১৪ সালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ঢাকা সফরে এলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাকে পাঁচটি জামাদানি শাড়ি জামদানি শাড়ি উপহার দিয়েছিলেন।

বিপ্লবী ওর্য়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “জামদানি আর ঈলিশ মাছের কূটনীতি থেকে একটু বেরিয়ে এসে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের পক্ষে দাঁড়িয়ে সমতা, ন্যায্যতার ভিত্তিতে আমরা দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধান দেখতে চাই।”

প্রধানমন্ত্রীর বুধবারের ভারত সফরের আগে তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়ে তিনি বলেন, “ভারতীয় অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণ বলে বলে দশকের পর দশক তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রাখার সুযোগ নেই।

“প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরের মধ্য দিয়ে আমরা এটার একটা সুনির্দিষ্ট সমঝোতামূলক চুক্তি দেখতে চাই। আমরা কোনো দয়া চাই না, আমরা আমাদের ন্যায্য হিস্যা চাই। আমরা আন্তর্জাতিক যে নিয়ম-নীতি ও বিধান অনুসারেই এর সমাধান চাই।”

আসামের নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদপড়াদের বিদেশি হিসেবে বর্ণনা বিজেপি সরকার যে প্রচারণা চালাচ্ছে সে বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য দাবি করেন সাইফুল হক।

“আসামের নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়া বাঙালিদের নিয়ে যেভাবে আগ্রাসী ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে, সেটা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থের জন্য স্পষ্ট হুমকি। বাংলাদেশ সরকার এটা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি। ভারত সফরে এবিষয়ে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান আমরা দেখতে চাই।”

সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান সামাজিক-রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা সুপারিশ পেশ করেন তিনি।

অন্যদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আনছার আলী দুলাল ও আবু হাসান টিপু উপস্থিত ছিলেন।