কে এই এনামুল হক আরমান?

ক্যাসিনো চালানোর তথ্য প্রকাশের পর আত্মগোপনে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সঙ্গে এনামুল হক আরমানকেও গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আরমান ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি।

রবিবার ভোর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

আরমানের বাড়ি নোয়াখালীতে। তিনি স¤্রাটের ক্যাসিনোর টাকার সংগ্রাহক তথা ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত। আরমান একসময় সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় লাগেজ আনার ব্যবসা করতেন। সে সুবাদে সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনোর সঙ্গে পরিচয় ঘটে আরমানের। পরবর্তী সময়ে সম্রাটের সঙ্গে নিয়ে এই অবৈধ কারবার শুরু করেন তিনি।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে আলোচনায় ছিল যুবলীগ নেতা সম্রাটের নাম। প্রথম দু’তিন দিন কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে নিজের কার্যালয়ে অবস্থান নিলেও এক পর্যায়ে সেখান থেকেও লাপাত্তা হয়ে যান সম্রাট।

জানা যায়, হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া আরমান চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন। ‘দেশ বাংলা মাল্টিমিডিয়া’ নামের চলচ্চিত্র প্রোডাকশন হাউসের প্রধান কর্ণধার আরমান। নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে সম্প্রতি দুটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে তিনি কয়েক কোটি টাকা লগ্নিও করেছেন। এছাড়া গত ঈদুল আযহায় মুক্তি পাওয়া ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ নামের সিনেমাটির প্রযোজকও আরমান।

এটি আরমানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রথম ফিল্ম। এরপর শাকিব খানের বিপরীতে নবাগতা এক নায়িকাকে নিয়ে ‘আগুন’ নামের দ্বিতীয় ফিল্মের কাজও শুরু হয় আরমানের প্রযোজনায়।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর বার্তা পেয়ে গেল মাসের মাঝামাঝিতে অভিযান শুরু করে র‌্যাব। রাজধানীতে ক্লাবের আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন সম্রাটের ডান হাত হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

এরপরই ধরা পড়েন রাজধানীর টেন্ডার কিং আরেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীম। এ দুজনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে। তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন।