বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণার পরেই নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কয়েকবার টুইট করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
পরপর কয়েকটি টুইটে অমিত শাহ লেখেন, ‘শ্রীরাম জন্মভূমি নিয়ে শীর্ষ আদালতের এই সর্বসম্মত রায়কে আমি স্বাগত জানাই। আমি সব ধর্মের মানুষের কাছে আবেদন করব, তারা যেন এই রায়কে খোলা মনে স্বাগত জানিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখেন এবং এক ভারত-শ্রেষ্ঠ ভারত’ -এর ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ণ রাখেন।’
একইরকম টুইট করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
.মোদি বলেছেন, কয়েক দশক ধরে চলে আসা একটি বিরোধপূর্ণ ইস্যুতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যে মানুষের আস্থার বিষয়টি পুনর্প্রতিষ্ঠা করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
তিনি বলেন, কেউ জিতেছে কিংবা হেরেছে এমনভাবে রায়কে দেখা উচিত হবে না। কয়েক দশকের পুরনো এই মামলাকে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবেই সমাধান দিয়েছেন আদালত।
এক টুইটবার্তায় এই কট্টর হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী বলেন, অযোধ্যা ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্ট তার রায় দিয়েছে। এটা কারো জয়-পরাজয় হিসেবে দেখা উচিত হবে না।
তিনি বলেন, এটা রাম ভক্তি কিংবা রহিম ভক্তি, যাই হোক না কেন, এটা অপরিহার্য যে রাষ্ট্র ভক্তিতে আমাদের চেতনা আরও জোরদার করবো। সম্ভবত শান্তি ও ঐক্যেরই জয় হবে।
ষোড়শ শতকে নির্মিত বাবরি মসজিদটি ১৯৯২ সালে গুঁড়িয়ে দেয় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। রামচন্দ্রের জন্মভূমিতে এই মসজিদ তৈরি করা হয়েছে বলেই তাদের বিশ্বাস।
মসজিদটি ভাঙা নিয়ে ওই বছর হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গায় ভারতজুড়ে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।
অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে বাবরি মসজিদ ও রাম জন্মভূমি নিয়ে বিরোধ মামলা চলছে।
১৯৪৯ সালের ডিসেম্বরে বিতর্কিত জমিতে রামের মূর্তি স্থাপনের পরে ফৈজাবাদ আদালতে বাবরি মসজিদের পক্ষে যিনি প্রথম মামলা দায়ের করেছিলেন তার নাম হাসিম আনসারি।
২০১৬ সালে তিনি মারা গেলে তার ছেলে ইকবাল আনসারি মামলার বাদী হন।
এই রাম মন্দির ও বাবরি মসজিদের বিষয়টি ১৯৮০’র দশকে ভারতে অন্যতম রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছিল।