ইসরাইলের বিমান হামলা, কমপক্ষে ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বুধবার দিনব্যাপী দখলদার বাহিনীর হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বুধবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে বলে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদলুর খবরে বলা হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৭১ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। যাদের মধ্যে ৩০ শিশু ও ১৩ নারী রয়েছেন।

সোমবার মধ্যরাতে নিজের বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রতিরোধ আন্দোলন ইসলামি জিহাদের এক কমান্ডারকে ইসরাইলি হানাদার বাহিনী হত্যার পর নতুন করে উত্তেজনা চলছে।

মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া দখলদার বাহিনীর হামলায় ইসলামিক যোদ্ধারাও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন। হামলার জবাবে গাজা থেকেও অবৈধ ইসরাইলে বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।

তেল আবিবের দাবি, ইসরাইলের ওপর রকেট হামলার প্রস্তুতি নেয়ার সময় এসব হামলা চালানো হয়েছে। যদিও ধারাবাহিক হামলায় হতাহত অধিকাংশই বেসামরিক ফিলিস্তিনি।

ইসলামিক জিহাদ নেতা খাদির হাবিব বলেন, ‘ইসরাইলের অস্তিত্ব মুছে দিয়ে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করব। সে পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত থাকবে। উন্মাদ নেতানিয়াহুকে মাথা নত করতে বাধ্য করব। আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া এই লড়াই তখনই শেষ হবে, যখন অপরাধীরা পরাজিত হবে।’

বুধবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, ইসলামি জিহাদ যদি রকেট নিক্ষেপ বন্ধ না করে, তবে তাদের আরও বড় আঘাত সইতে হবে।

প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলছে, উত্তেজনার পরিণতির সম্পূর্ণ দায় ইসরাইলকে বহন করতে হবে। ইসলামি জিহাদের কমান্ডার আবু আল-আত্তার হত্যাকাণ্ড বিনাবিচারে ছেড়ে দেয়া হবে না।

এদিকে গাজা উপত্যকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরবর্তী নোটিশ না দেয়ার আগ পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

জাতিসংঘ পরিচালিত ফিলিস্তিনিদের শরণার্থী শিবিরের স্কুলও বন্ধ থাকবে বলে দেশটির শিক্ষামন্ত্রণালয় জানিয়েছে।