ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিল শেষ হয়েছে। নবম বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা এবং দ্বিতীয় বারের মত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে তারা নির্বাচিত হন। সভাপতি নির্বাচিত হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের নাম ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।
এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির ৪৩জন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এতে পদোন্নতি পেয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা। দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হয়েছেন বিলুপ্ত কমিটির দুই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।
এছাড়া সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবে প্রথমবারের মত কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। মাহবুবউল আলম হানিফ এবং ডা. দীপু মণি যথারীতি আগের পদ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন এবং মির্জা আজম। আট জন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে ৫জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ৩ জন গত কমিটিসহ পরপর ৩ বার এবং এই বার নিয়ে ৪ বার এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা হলেন, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
দফতর সম্পাদক থেকে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর থেকে দফতর সম্পাদক হয়েছেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। আইন সম্পাদক হয়েছেন গত কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. কাজী নজিবুল্লাহ হিরু এবং মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
এছাড়া স্বপদে আছেন, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদ, শিক্ষা ও মানব সম্পাদক বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া।
এছাড়া ১৯ সদস্যের সভাপতিমন্ডলীতে রয়েছেন- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাহারা খাতুন, মোহাম্মাদ নাসিম, কাজী জাফর উল্ল্যাহ, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, ড. আবদুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আব্দুল মান্নান খান, আবদুল মতিন খসরু, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।
সংসদীয় বোর্ড এর সদস্যরা হলেন-শেখ হাসিনা, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ওবায়দুল কাদের, মো. রাশিদুল আলম। বাকি নামগুলো পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে বিভাগীয় দিকগুলো বিবেচনায় নিতে চান বলে জানান শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড এর সদস্য হয়েছেন- শেখ হাসিনা, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, কাজী জাফর উল্লাহ, মোহাম্মদ নাসিম, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ওবায়দুল কাদের, মো. রাশিদুল আলম, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মণি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মো. আব্দুর রহমান, ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।
উপদেষ্টা পরিষদে আছেন-৫১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন ডা. এস এ মালেক, আবুল মা’ল আব্দুল মুহিত, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলী, এইচ টি ইমাম, ড. মশিউর রহমান, প্রফেসর ড. আলাউদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, সৈয়দ আবু নসর অ্যাডভোকেট, শ্রী সতীশ চন্দ্র রায়, প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, প্রফেসর ডা. রুহুল হক, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি, কাজী আকরাম উদ্দীন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, ড. অনুপম সেন, প্রফেসর ড. হামিদা বানু, প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুর, অধ্যাপিকা সুলতানা শফি, এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, গোলাম মওলা নকশাবন্দি, ড. মির্জা এমএ জলিল, ড. প্রণব কুমার বড়–য়া, মে. জে. আব্দুল হাফিজ মল্লিক পিএসসি (অব.), প্রফেসর ডক্টর সাইদুর রহমান খান, ড. গওহর রিজভী, মো. রশিদুল আলম, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, কাজী সিরাজুল ইসলাম, আলহাজ্ব মকবুল হোসেন, মোজাফফর হোসেন পল্টু, অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, মুকুল বোস, সালমান এফ রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আতাউর রহমান, জয়নাল হাজারী। বাকি পদগুলো পরে আলোচনা করে পূরন করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।