রাবি ক্রপ সায়েন্সের তিন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল

  • উপাচার্য ও সিন্ডিকেটকে উচ্চ আদালতের তিরষ্কার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগে সম্প্রতি নিয়োগ দেয়া সেই তিন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করেছে উচ্চ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার উচ্চ আদালত এই রায় দেন। বুধবার সন্ধ্যায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

গত ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সিন্ডিকেটের তিন সদস্যের বিরোধিতা সত্ত্বেও রাবি উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত ৪৯৭তম সিন্ডিকেট সভায় এ নিয়োগ দেওয়া হয়। সিন্ডিকেটে ঘোষিত নিয়োগপ্রাপ্ত তিন জন হলেন, শামসুন্নাহার, মোক্তার হোসেন এবং রিজভী আহমেদ।

ওইদিন সকালে নিয়োগ বোর্ডকে ‘অবৈধ’ দাবি করে নিয়োগ স্থগিতের দাবি জানিয়ে বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক সোলাইমান চৌধুরীসহ আট শিক্ষক। এ সময় শিক্ষক সোলাইমানকে লাঞ্চিত করেন বর্তমান প্রশাসনের দুই সহকারী প্রক্টর।

আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, নিয়োগটি বাতিল হয়েছে। ২০১৯ সালে যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে যে নিয়োগটি হয়েছিল সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। এর আগে শুনানি চলাকালীন বর্তমান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য হাইকোর্ট থেকে মৌখিকভাবে নির্দেশনা ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশনা না মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কারণে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য এবং সিন্ডিকেটকে হাইকোর্ট তিরষ্কার করেছে।

এর আগে ক্রপ সায়েন্স বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন ওই বিভাগের শিক্ষক ও প্ল্যানিং কমিটির সদস্য অধ্যাপক আলী আসগর। ২৭ জানুয়ারি রিটপিটিশনে রায় দেওয়ার দিন ধার্য করা হয়। পরে আরো একদিন পেছানো হয়।

অধ্যাপক আলী আসগর বলেন, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ আবেদন করতে পারবে। আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ২৭ আগস্ট কিন্তু মাস্টার্সে ফলাফল প্রকাশ না হওয়া সত্ত্বেও একজনকে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। যার মাস্টার্সের ফল প্রকাশিত হয়েছে ৩ নভেম্বর। এ অবস্থায় আমরা মনে করেছি পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।