হামাসের ‘সুন্দরি নারীর ফাঁদ’

সুন্দরি নারী ব্যবহার করে হামাসের আরো একটি ফাঁদ চিহ্নিত ও বানচাল করে দেয়ার দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ জানিয়েছে হামাসের ফেলা তৃতীয় ফাঁদ এটি যা তারা সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস সুন্দরি মেয়েদের দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনাদের প্রেমে ফেলার চেষ্টা করে। এরমধ্য দিয়ে তারা আইডিএফের অনেক গোপন তথ্য বের করে আনে।

জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, ২০১৭ সালে প্রথমবারের মত এ ধরণের ফাঁদ চিহ্নিত করতে সেনাবাহিনীর মধ্যে পর্যবেক্ষণ শুরু করে আইডিএফ। এর অংশ হিসেবে সেনা সদস্যসহ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত সকলের মোবাইল ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি করা হয়। এরইমধ্যে হামাসের এমন তিনটি প্রচেষ্টা নস্যাৎ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। ফিলিস্তিনি সংগঠনটি এখন চ্যাটিং অ্যাপ টেলিগ্রাম, ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ইনস্টাগ্রামসহ অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ফাঁদ ফেলছে।

ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে কথা বলার সময় হামাসের এই এজেন্টরা হ্যাশট্যাগ থেকে শুরু করে ইসরায়েলিদের ব্যবহৃত গালিও ব্যবহার করে। ফলে তাদের বিষয়ে সন্দেহ করা থেকে দূরে থাকে ইসরায়েলি সেনারা। অনেকসময় ভয়েজ মেসেজ পাঠিয়েও প্রলুব্ধ করার চেষ্টা চালানো হয় বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

তবে এখন পর্যন্ত হামাসের এমন কার্যক্রমের ফলে ইসরায়েলের জাতীয় কোনো স্বার্থ নষ্ট হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সেনা সদস্যদের বলা হয়েছে, অনলাইনে যদি কোনো অপরিচিত ব্যক্তি তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে তাহলে এটি একটি সম্ভাব্য ফাঁদ হতে পারে। এ বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এমন কারো সঙ্গে যদি যোগাযোগ হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত তাদেরকে উর্ধতন কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি জানানোর আহবান জানানো হয়েছে।