‘নো টেস্ট, নো করোনা- পলিসিতে সরকার’

মহামারী করোনাভাইরাস নিয়ে বর্তমান সরকারের পলিসি জনগণের কাছে একদম পরিষ্কার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মাহসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘আজ এমন এক অকল্পনীয় ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আপনাদের সমীপে উপস্থিত হয়েছি, যখন করোনা ভাইরাসের মহাদুর্যোগের কারণে সামনে বসে সরাসরি কথা বলার মতো পরিবেশ নেই। কোভিড-১৯ ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নিয়েছে’।

রিজভী আরও বলেন, ‘মহাবিপদ মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি নেই, সমন্বয় নেই, আক্রান্ত রোগী শনাক্তকরণের পর্যাপ্ত উপকরণ ও ব্যবস্থাপনা দেশে নেই; নেই চিকিৎসকদের রক্ষার ব্যবস্থা, নেই যথেষ্ট মাস্ক, স্যানিটাইজার ও ভেন্টিলেটর’।

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার ব্যবস্থা ছাড়া সরকার আক্রান্ত সংখ্যার যে তথ্য দিচ্ছে তা বিশ্বাসযোগ্যতা পাচ্ছে না। সরকারের পক্ষ থেকে টানা দু’দিন বলা হচ্ছে- “দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত নেই। অথচ পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশনসহ মিডিয়ায় প্রতিদিন সর্দি, জ্বর, কাশিতে মারা যাওয়ার খবর দিচ্ছে। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যুর সংবাদ ছাপা হয়েছে আজকের খবরের কাগজে। কী ভীতিকর পরিস্থিতি! ইলেকট্রনিক্স, প্রিন্ট মিডিয়ার খবরের সঙ্গেও সরকারের ব্রিফিংয়ের আকাশ-পাতাল ব্যবধান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বারবার বলে আসছে, করোনা আক্রান্তদের শনাক্ত করতে যত বেশি সম্ভব পরীক্ষা করতে হবে। অথচ সরকারের পুরো ব্যবস্থাপনা হলো পানিতে হালবিহীন নৌকার দুরাবস্থা যেমন।’

রিজভী বলেন, ‘দীর্ঘদিন সময় পেয়েও জেলা পর্যায়ে করোনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার সরঞ্জামাদি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ছিলো সরকারের। সে দায়িত্ব পালনে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ‘দিন এনে দিন খাওয়া’ পরিবারগুলোর খাদ্য সংকট আগামীতে আরও বাড়বে। সেই সংকট যেন বড় বিপদ না হয়ে ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে খেটে খাওয়া মানুষকে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। প্রণোদনা বাড়াতে হবে।’