যশোরে মুন্না হত্যা মামলায় আটক রাকিবের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি

যশোর শহরের বড় বাজারে মুন্না হত্যা মামলায় আটক আসামি রাকিব (১৯) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। রাকিব শহরের লোন অফিসপাড়ার আলমাসের ছেলে। তাকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর ফাঁড়ির এস আই মফিজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শনিবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় মুড়লি এলাকা থেকে মুন্না হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি রাকিবকে আটক করা হয়। রোববার (২১ জুন) রাকিবকে অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহম্মদ আকরাম হোসেনের আদালতে হাজির করা হলে মুন্না হত্যার দায় স্বীকার করে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দি দেয়।

এস আই মফিজ বলেন, রাকিব আদালতকে জানায়, মুন্না তাদের বড় ভাই। তিনি (মুন্না) রাকিবকে, শিমুল, পলাশ, ও হৃদয়ের সাথে মিশতে নিষেধ করে। এ কথা রাকিব- হৃদয়, পলাশ ও শিমুলকে বলে দেয়। একথা শুনে তাদের রাগ হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মুন্না আদমের চায়ের দোকানে চা ওর্ডার দিয়ে তিন রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলো তখন রাকিবসহ চারজন কেন তাদের সাথে রাকিবকে মিশতে নিষেধ করেছে একথা শুনতে মুন্নার কাছে যায়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তারা মুন্নাকে উপুর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে। হাসপাতালে ভর্তির পর মুন্নার মৃত্যু হয়। বয়স কম হওয়ায় জবানবন্দি শেষে রাকিবকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরন করা হয়।

উল্লেখ্য, ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বড় বাজারের মাছ বাজারে আদমের চায়ের দোকানের সামনে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে পলাশ, শিমুল, হৃদয় ও রাকিব, ইমরান হোসেন মুন্নাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত মুন্নার চাচা রেজাউল ইসলাম রাজু বাদি হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই চার জনের নাম উল্লেখসহ আজ্ঞাত নামা আরো ২/৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় আগে হৃদয় ও পলাশ পুলিশের হাতে আটক হয়। রাকিবকে নিয়ে তিনজনকে পুলিশ আটক করলো। পলাতক রয়েছে শিমুল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মফিজ জানান, অভিযান অব্যাহত আছে খুব শিঘ্রই শিমুলকে আটক করা হবে।