বিদেশ যেতে সব এয়ারলাইন্সের যাত্রীদের নিতে হবে করোনা সার্টিফিকেট

corona virus negetive

আর তিন দিন পর অর্থাৎ ২৩শে জুলাই থেকে যারা বিদেশ যেতে চান তাদের জন্য করোনা টেস্ট সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ বেসরকারি সব এয়ারলাইন্সগুলোর যাত্রীদের এই নির্দেশনা মানতে হবে। সিভিল এভিয়েশন থেকে জারি করা এক আদেশে ওই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বিমানের পাশাপাশি অন্যান্য এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে অফিশিয়ালি চিঠি দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ার এর মার্কেটিং ও মিডিয়া কমিউনিকেশনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ নীলাদ্রি মহারত্ন বলেন, সিভিল এভিয়েশন থেকে বিদেশগামী যাত্রীদের বিষয়ে আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিদেশে আমাদের যেসব ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে সেসব ফ্লাইটের যাত্রীদের করোনা সার্টিফিকেট থাকতে হবে। আমরা সিভিল এভিয়েশনের ওই নির্দেশনা নিয়ে কাজ করছি।

এদিকে সিভিল এভিয়েশনের এ নির্দেশনার এক সপ্তাহ আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিদেশে যেতে চাইলে বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিককে ‘করোনা নেগেটিভ’ সনদ নিয়ে যেতে হবে।
সরকারের নির্ধারিত করোনা পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে এই সনদ সংগ্রহ করতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এদিকে সিভিল এভিয়েশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কেবল কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেটধারীরা বিদেশ গমন করতে পারবেন। যাত্রার ৭২ ঘণ্টার আগে কোনো নমুনা সংগ্রহ করা হবে না এবং যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে রিপোর্ট ডেলিভারি গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। নমুনা দেয়ার সময় পাসপোর্টসহ যাত্রীদের বিমান টিকেট ও পাসপোর্ট উপস্থাপন ও নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে। কোভিড-১৯ পরীক্ষার নিমিত্তে নির্দিষ্টকৃত পরীক্ষাগার যে জেলায় অবস্থিত সে জেলার সিভিল সার্জন অফিসে স্থাপিত পৃথক বুথে তাদের নমুনা নেয়া হবে। নমুনা দেয়ার পর থেকে যাত্রার সময় পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আবশ্যিকভাবে আইসোলেশনে থাকবেন। বিদেশ যাত্রীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা সনদ প্রাপ্তির জন্য ল্যাবে গিয়ে নমুনা দেয়ার ক্ষেত্রে ৩৫০০ টাকা এবং বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহে ৪৫০০ টাকা ফি দিতে হবে।

বিমানের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, বিদেশগামীদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ, বরিশালের শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ, চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকেল অ্যান্ড ইনফেক্টিয়াস ডায়াসিস, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার, ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ ঢাকা, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ, এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ দিনাজপুর ও রংপুর মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।