পদত্যাগ করছেন না রোজিনা

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে ১৮৫ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোজিনা।

তিনি মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে পরাজিত হন মিশা। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তার তিন সপ্তাহ ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

তারমধ্যে ইলিয়াস কাঞ্চন আবার ঘোষণা দেন নির্বাচিত শিল্পীদের সবাইকে সমিতির সমস্ত কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। কোনো অনুপস্থিতি মেনে নেওয়া হবে না। রোজিনা বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে থাকেন।

ফলে নিয়মিত সমিতির বৈঠকে তাঁর থাকা সম্ভব হবে না। এছাড়াও ব্যক্তিগত আরো কিছু কারণ দেখিয়ে কার্যনির্বাহী সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

সমিতি নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কঞ্চন বরাবর ইমেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন রোজিনা। ১১ ফেব্রুয়ারি পাঠানো সেই মেইল এখন পর্যন্ত সমিতি গ্রহণ করেনি। ফলে তিনি এখনো সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য আছেন বলে জানান রোজিনা।

‘কসাই’ ছবির অভিনেত্রী বলেন, আমি একজন শিল্পী। মাঝখানে খুব বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম নিজেদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি দেখে। সামান্য একটা পদ নিয়ে মামলা পর্যন্ত হলো। এটা আমার পুরো অভিনয় জীবনে দেখিনি।

পাশের বাসার মানুষও আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন শিল্পী সমিতিতে এসব কী হচ্ছে! আমি লজ্জায় মরে যাই। তাই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ডিপজল, আলীরাজ ভাইসহ কয়েকজন শিল্পী আমাকে বুঝিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন আমাকে যোগ্য সম্মান দেয়া হবে।

এদিকে ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি পদে শপথ নেয়ার পরই জানান পরপর তিন সভায় যদি কোনো নির্বাচিত সদস্য বৈঠকে হাজির না হন তাঁর সদস্যপদ বাতিল হবে।

এই প্রসঙ্গ নিয়ে রোজিনা বলেন, আমাকে জায়েদ খান বলেছে সিনিয়রদের সব বৈঠকে থাকা লাগবে না। শুধু গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্তের সময় তাঁদের মতামত নেয়া হবে।

তাও সমিতিতে না আসতে পারলে ফোনে জানালেও চলবে। আমার মনে হয়েছে, তাহলে সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে থাকতে সমস্যা নেই। আমি নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি মেইল উইথ ড্র করব।