এক নজরে দেশের সব বাজেট

songsod

করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতির যখন টালমাটাল পরিস্থিতি, এমন সময় জাতীয় সংসদে দেশের ৫১তম বাজেট উত্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৩তম বাজেট।

এবারের ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামের বাজেটটি হতে যাচ্ছে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট।

 

২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটের আকার হতে যাচ্ছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশ কিছু খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবারের বাজেটে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থাকবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

 

এবারের বাজেটে সরকারের আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা এবং ঘাটতি বাজেটের আকার ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

 

দেশের ইতিহাসে প্রথম ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। সে বছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ছিল ৬ দশমিক ২৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মাথাপিছু আয় ছিল ৯৪ দশমিক ৪ মার্কিন ডলার বা ৫৬৬টি টাকা।

 

বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশের বিস্ময়কর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটেছে। এ দেশ বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ ছাড়া ক্রয় সক্ষমতার বিচারে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৩০তম এবং ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।

 

এক নজরে দেশের সব বাজেট

অর্থবছর – বাজেট পেশের তারিখ- বাজেট উত্থাপক – বাজেটের আকার

 

১৯৭২-৭৩, ৩০ জুন ১৯৭২, তাজউদ্দীন আহমদ, ৭৮৬ কোটি টাকা

 

১৯৭৩-৭৪, ১৪ জুন ১৯৭৩, তাজউদ্দীন আহমদ, ৯৯৫ কোটি টাকা

 

১৯৭৪-৭৫, ১৯ জুন ১৯৭৪, তাজউদ্দীন আহমদ, ১ হাজার ৮৪ দশমকি ৩৭ কোটি টাকা

 

১৯৭৫-৭৬, ২৩ জুন ১৯৭৫, আজিজুর রহমান, ১ হাজার ৫৪৯ দশমিক ১৯ কোটি টাকা

 

১৯৭৬-৭৭, ২৬ জুন ১৯৭৬, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, ১ হাজার ৯৮৯ দশমকি ৮৭ কোটি টাকা

 

১৯৭৭-৭৮, ২৫ জুন ১৯৭৭, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান, ২ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা

 

১৯৭৮-৭৯, ৩০ জুন ১৯৭৯ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, ২ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা

 

১৯৭৯-৮০, ২ জুন ১৯৭৯, ড. মীর্জা নুরুল হুদা, ৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা

 

১৯৮০-৮১, ৭ জুন ১৯৮০, এম সাইফুর রহমান, ৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা

 

১৯৮১-৮২, ৬ জুন ১৯৮১, এম সাইফুর রহমান, ৪ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা

 

১৯৮২-৮৩, ৩০ জুন ১৯৮২, এএমএ মুহিত, ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা

 

১৯৮৩-৮৪, ৩০ জুন ১৯৮৩, এএমএ মুহিত, ৫ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা

 

১৯৮৪-৮৫, ২৭ জুন ১৯৮৪, এম সাইদুজ্জামান, ৬ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা

 

১৯৮৫-৮৬, ৩০ জুন ১৯৮৫, এম সায়েদুজ্জামান, ৭ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা

 

১৯৮৬-৮৭, ২৭ জুন ১৯৮৬, এম সাইদুজ্জামান, ৮ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা

 

১৯৮৭-৮৮, ১৮ জুন ১৯৮৭, এম সাইদুজ্জামান, ৮ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা

 

১৯৮৮-৮৯, ১৬ জুন ১৯৮৮, মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম, ১০ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা

 

১৯৮৯-৯০, ১৫ জুন ১৯৮৯, ড. ওয়াহিদুল হক, ১২ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা

 

১৯৯০-৯১, ১৪ জুন ১৯৯০, মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম, ১২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা

 

১৯৯১-৯২, ১২ জুন ১৯৯১, এম সাইফুর রহমান, ১৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা

 

১৯৯২-৯৩, ১৮ জুন ১৯৯২, এম সাইফুর রহমান, ১৭ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা

 

১৯৯৩-৯৪, ১০ জুন ১৯৯৩, এম সাইফুর রহমান, ১৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা

 

১৯৯৪-৯৫, ০৯ জুন ১৯৯৪, এম সাইফুর রহমান, ২০ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা

 

১৯৯৫-৯৬, ১৫ জুন ১৯৯৫, এম সাইফুর রহমান, ২৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা

 

১৯৯৬-৯৭, ২৮ জুলাই ১৯৯৭, শাহ এএমএস কিবরিয়া, ২৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা

 

১৯৯৭-৯৮, ১২ জুন ১৯৯৭, ১২ জুন ১৯৯৭, শাহ এএমএস কিবরিয়া, ২৭ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা

 

১৯৯৮-৯৯, ১১ জুন ১৯৯৮, শাহ এএমএস কিবরিয়া, ২৯ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা

 

১৯৯৯-২০০০, ১০ জুন ১৯৯৯, শাহ এএমএস কিবরিয়া, ৩৪ হাজার ২৫২ কোটি টাকা

 

২০০০-০১, ৮ জুন ২০০০, শাহ এএমএস কিবরিয়া, ৩৮ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা

 

২০০১-০২, ৭ জুন ২০০১, শাহ এএমএস কিবরিয়া, ৪২ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা

 

২০০২-০৩, ৬ জুন ২০০২, এম সাইফুর রহমান, ৪৪ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা

 

২০০৩-০৪, ১২ জুন ২০০৩, এম সাইফুর রহমান, ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা

 

২০০৪-০৫, ১০ জুন ২০০৪, এম সাইফুর রহমান, ৫৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা

 

২০০৫-০৬, ৯ জুন ২০০৫, এম সাইফুর রহমান, ৬১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা

 

২০০৬-০৭, ৮ জুন ২০০৬, এম সাইফুর রহমান, ৬৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা

 

২০০৭-০৮, ৭ জুন ২০০৭, এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম, ৮৭ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা