প্রণোদনার অর্থ মেটানো কঠিন হবে : ড. আহসান এইচ মনসুর

 

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ে সরবরাহ বাড়িয়ে চাহিদা কমোনোর দিকে সরকারের নজর আছে| এক্ষেত্রে সরকার ভালো করবে বলেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে| ইত্তেফাককে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় এবারের বাজেট অনেক ছোট হয়ে গেছে| অন্যান্য বছর সাধারণত ১৮ শতাংশের মতো থাকে| এ বছর এটা ১৫ দশমিক ২ শতাংশ| কার্যত তা ১৩ শতাংশের কাছাকাছি| সে হিসেবে এবারের বাজেট সবচেয়ে ছোট বাজেট| তবে এ ছোট বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে| চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রাজস্ব ঘাটতি মেটানোটা কঠিন হবে| এ বছরের ঘাটতি সামনে বছরে যুক্ত হবে| এ বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো ঘাটতি আছে| যদিও সরকার এটা স্বীকার করে না| ফলে রাজস্ব ঘাটতি মেটানোটাই কঠিন হবে| এছাড়া প্রণোদনার অর্থ মেটানোটাও বেশ কঠিন হতে পারে| এ খাতে ৮২ হাজার কোটি টাকা লাগবে| যা পদ্মা সেতুর আড়াই গুণ পরিমাণ| বর্তমানে আমরা মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত যে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, আগামীতে বিশ্ব পরিsthiতি ও বিশ্ববাজারে দ্রব্যের মূল্য কেমন হবে সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে| তাই বিশাল পরিমাণ প্রণোদনার অর্থ জোগাড় করা কঠিন হবে|

 

 

বাজেট বাস্তবায়নের জন্য বিদেশ থেকে ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার অর্থ লাগবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কীভাবে এটা সংস্থান হবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোন উল্লেখ নেই| বিদেশ থেকে এটা বিনিয়োগ না ঋণ হিসেবে নেওয়া হবে সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়|

 

অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ উত্স থেকে ঋণ নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে কিন্তু বর্তমানে দেশের মানি মার্কেট ‘ভোলাটাইল’ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে| অবস্থা সামনে কেমন হয় সেটার ওপর নির্ভর করছে অভ্যন্তরীণ এ বাজার থেকে কতটা অর্থ নেওয়া যাবে| এসব বিবেচনায় বলা যায় বাজেট বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জও বড়|