ঝিনাইদহে ৩-১ গোলে হারল ব্যারিস্টার সুমনের দল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঝিনাইদহে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। শনিবার বিকেলে শহরের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে ম্যাচে মুখোমুখি হয় ব্যারিস্টার সুমন একাদশ বনাম শহীদ রাব্বুল স্মৃতি সংসদ।

খেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম। সেসময় পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান, খেলার আয়োজক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, ব্যারিস্টার সুমনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুপুরের পর থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত দর্শক উপস্থিত হয় খেলার মাঠে। কানাই কানাই পরিপুর্ণ হয়ে যায় স্টেডিয়ামের গ্যালারী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল সাড়ে ৪ টায় বল মাঠে গড়ায়। শুরু হয় আক্রমন পাল্টা আক্রমন। তীব্র উত্তেজনাপুর্ণ খেলা উপভোগ করেন দর্শকরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই খেলা শুরুর ১২ মিনিটের মাথায় প্রতিপক্ষের জালে বল দিয়ে দলকে এগিয়ে নেয় শহীদ রাব্বুল স্মৃতি সংসদ খেলোয়াড় জুলফিকার। চলে আক্রমন পাল্টা আক্রমন। ২২ মিনিটের মাথায় আরও এক গোল দিয়ে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় শহীদ রাব্বুল স্মৃতি সংসদ। গোল পরিশোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে ব্যারিস্টার সুমন একাদশের খেলেয়াড়রা। পরিশোধ করতে গিয়ে রক্ষণভাগ দুর্বল থাকায় আরও একটি গোল হজম করতে হয় তাদের। ৩-০ গোলে প্রথমার্ধ শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু থেকেই আট-ঘাট বেঁধে নামে ব্যারিস্টার সুমনের দল। কিন্তু ঝিনাইদহের খেলোয়াড়দের খেলার ছন্দে তাল হারায় তারা। খেলার ৬২ মিনিটের মাথায় কপালগুণে ডিবক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল হওয়ায় পেনাল্টি পায় সুমনের দল। পেনাল্টিতে একটি গোল করে দলকে একটু এগিয়ে দেয় তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে পরাজিত হতে হয় তাদের। খেলা শেষে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের মাঝে ট্রফি তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

 

আওয়ামী লীগ আবারো ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসার চক্রান্ত করছে- আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী

 

বসির আহাম্মেদ,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এই সরকার ফ্যাসিষ্ট, দখলবাজ ও অনির্বাচিত সরকার। তারা আবারো ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসার চক্রান্ত করছে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন বিশ^নেতারা ও দেশের মানুষ গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করছেন। খুব সাবধান হয়ে যান, জনগনের কাছে মাফ চেয়ে নিন নইলে পালানোর পথ পাবেন না। র‌্যাব, পুলিশ ও সরকারের যত বাহিনী আছে তারাও নিজেরা বাঁচার জন্য শেখ হাসিনাকেই আবার ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা করছে। এসব করে লাভ হবে না। যতই গণগ্রেফতার ও নির্যাতন করবেন ততই বিএনপির সমাবেশগুলো সফল হবে। মানুষ গনতন্ত্রের পক্ষে রাস্তায় নেমে আসবে।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আইনশৃংলারক্ষা বাহিনীর প্রতি হুসিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আপনাদের গতিবিধি সর্বক্ষন মনিটরিং করা হচ্ছে। আপনারা কে কি করছেন তার হিসাব নেওয়া হবে। তাই আপনারা গণতন্ত্রের স্বাধীনতার পক্ষে আসুন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে আসুন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে আসুন। যদি না আসুন তবে রাজপথেই ফয়সালা হবে বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে।

শনিবার আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ঝিনাইদহ শহরের উজির আলী স্কুল মাঠে বিরাট এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অবমাননা, গায়েবী মামলায় নির্বিচারে গনগ্রেফতার, মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশ হয়রানী, দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি, ভয়াবহ লোডসেডিং ও আওয়ামীলীগের সর্বগ্রাসী লুটপাটসহ ১০ দফা দাবী বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশের আগের রাতে বিএনপি নেতদাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানী করা হয়। গ্রেফতার করা হয় ১৭জন নেতাকর্মীকে। তারপরও সমাবেশস্থল কানায় কানায় পরিপুর্ণ হয়ে যায়।

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডঃ এম এ মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির খুলনা বিভাগী সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, এ্যাড আসাদুজ্জামান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সাবেক এমপি শহিদুজ্জামান বেল্টু, আব্দুল ওহাব, মীর রবিউল ইসলাম লাভলু, সুপ্রিমকোর্ট বার আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, আক্তাররুজ্জামান, মুন্সি কামাল আজাদ পাননু, আব্দুল মজিদ বিশ^াস, আলমগীর হোসেন আলম ও সাজেদুর রহমান পপপু প্রমুখ।