জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফিরেছিলেন বিশ্বকাপ খেলার আশায়। এটাই হয়তো তার জীবনের শেষ বিশ্বকাপ ছিল। কিন্তু সেই আশা পূরণ হলো না ড্যাশিং এই ওপেনারের।
তামিম বিশ্বকাপ স্কোয়াডে না থাকায় কষ্ট পেয়েছেন তার ভক্তরা। তামিমের বাদ পড়াটা যে স্বাভাবিক ছিল না সেটি তার কথায় স্পষ্ট। তামিম জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের টপ লেভেল একজন তাকে ফোন করে এমন কিছু কথা বলেন যেটি তিনি মানতে পারেননি। টপ লেভেলের ওই ব্যক্তির নাম বলেননি তামিম।
বুধবার বিকালে এক ভিডিও বার্তায় এমন তথ্য জানান তামিম।
তামিম বলেন, তার দুই-একদিন পর আমাকে বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করলেন। উনি বেশ ইনভলভড আমাদের ক্রিকেটে। আমাকে হঠাৎ করে ফোন করে বললেন, তুমি তো বিশ্বকাপে যাবা তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলতে হবে। তুমি এক কাজ করো তুমি প্রথম ম্যাচ খেলো না, আফগানিস্তানের সঙ্গে। আমি বললাম ভাই এটা এখনো ১২-১৩ দিনের কথা। আমি তো এর মধ্যে ভালো কন্ডিশনে থাকব। কী কারণে খেলব না? তখন বললেন, আচ্ছা তুমি যদি খেলোও আমরা এমন একটা পরিকল্পনা করছি তুমি যদি খেলোও তাহলে নিচে ব্যাট করাব।
বিষয়টি মানতে পারেননি জানিয়ে তামিম বলেন, ন্যাচারালি ভাই একটা জিনিস মনে রাখতে হবে আমি কোন মাইন্ডসেট থেকে আসতেছিলাম। হঠাৎ করে একটা ভালো ইনিংস খেলেছি। আমি হ্যাপি ছিলাম। হঠাৎ করে এসব কথা আমার পক্ষে নেওয়া সম্ভব না। আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে ব্যাটিং করেছি। জীবনে কোনো দিন তিন-চারে ব্যাটিংই করিনি। এমন যদি হতো আমি তিনে ব্যাটিং করি, চারে ব্যাটিং করি তাহলে যদি ওপর নিচ করা হয় সেটা মানিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু আমার তিনে চারে পাঁচে ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই। আমি কথাগুলো ভালোভাবে নিইনি। উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ কথাগুলো পছন্দ হয়নি। মনে হচ্ছিল আমাকে জোর করে অনেক জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। দিস ইজ হোয়াট আই ফেল্ট। তখন আমি বললাম দেখেন, আপনারা একটা কাজ করেন যদি আপনাদের এমন চিন্তাধারা থাকে তাহলে আপনারা আমাকে পাঠায়েন না। আমি এই নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না।
তামিম ওই ব্যক্তি সম্পর্কে বলেন, প্রতিদিন আপনারা আমাকে একেকটা নতুন জিনিস ফেস করাবেন, আমি এই জিনিসগুলোয় থাকতে চাই না। তারপরও ফোনে উনার সঙ্গে আমার অনেক কথাবার্তা হয়। সেগুলো এই প্লাটফর্মে না বলাই ভালো। এটা আমার আর উনার মধ্যেই থাক। তারপরও বলেছি যদি এগুলো হয় আমাকে রাখিয়েন না। আমি এই নোংরামোর মধ্যে থাকতে পারব না।
‘সো ওভারঅল আমি ব্যক্তিগতভাবে যে জিনিসটা ফিল করেছি, মিডিয়াকে আই ডোন্ট নো আমি ঠিক বলছি কি বলছি না, কারণ আমাদের অনেকেরই অভ্যাস আছে বড় একটা জিনিসকে ঢাকার জন্য আরেকটা জিনিস ঠিক করা। সে পাঁচ ম্যাচ খেলবে তাকে ক্যামনে সিলেক্ট করব। অ্যাজ আই সেইড ইট ওয়াজ ফলস। এমন কোনো কথাই হয়নি। আমি নিশ্চিত সেদিন টিম সিলেক্টর ছিল, ফিজিও ছিল, ট্রেনার ছিল—সবাই ছিল। কী বলেছি সেটা আপনাদের সঙ্গেও ক্লিয়ার করেছি। বাট ওভারঅল আমার কাছে মনে হয় ইফ ইউ রিয়েলি ওয়ান্ট মি টু মেক মি মেন্টালি ফ্রি অ্যান্ড হ্যাপি। বিকজ আই অ্যাম কামিং আউট অব অ্যা ভেরি ব্যাড থ্রি-ফোর মান্থস। আমার জন্য খুব কঠিন ছিল তিন-চার মাস। হয়তো এই কথাই যদি আমাকে অন্যভাবে বলা হতো তাহলে হয়তো আমি বিষয়টি মেনে নিতাম। কিন্তু হঠাৎ করে কেউ যদি ফোন করে বলে খেলিয়েন না, বা বলে যে আচ্ছা যদি খেলেনও আমাদের এমন আলোচনা হচ্ছে নিচে ব্যাটিং করাবে, আই অ্যাম নট টু শিউর যে এটা কতটুকু ফেয়ার। দিস ইজ হোয়াট এক্সাক্টলি হ্যাপেনড। এর চেয়ে বেশি কিছু আমার বলার নেই। আমি এতটুকুই বলব আমি নিজের তরফ থেকে যতটুকু ফিল করেছি, যেটা ঘটেছে সেটা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। ’