বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে ((খালেদা জিয়া) বিদেশে পাঠানো ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এই সরকার অবৈধ হলেও তাকে বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেবে বলে আমরা আশা করি।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে সামনে মহিলা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
দলের চেয়াপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে গৃহবন্দি করে চিকিৎসা না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠাতে হবে- এমন দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, সরকার জানে খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে জনগণের যে স্রোত নামবে তাতে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এই কারণে তাকে আটকে রাখা হয়েছে।
‘খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার এবং সরকার পতনের এক দফা’ দাবিতে সমাবেশ করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আটক রাখা হয়েছে- কারণ উনি মুক্ত থাকলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা কঠিন হয়ে যাবে। খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে দেশের গণতন্ত্র মুক্ত থাকবে। উনি (খালেদা জিয়া) মুক্ত থাকলে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘যে মানুষটি আজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে তাকে আজ গৃহবন্দি করে রেখেছে। তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। আমরা আশা করি তার পরিবার খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর যে আবেদন করছে তা সরকার বাস্তবায়ন করবে।’
সব নিত্যপণ্যের দাম আজ আকাশচুম্বী। সরকারের বেধে দেওয়া দাম কেউ মানছে না বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সব জায়গায় আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট। সংসার চালাতে নারীরা হিমশিম খাচ্ছে। এ সরকারের আমলে আজ কেউ নিরাপদ নয়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সমগ্র দেশের মানুষ যখন এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে জেগে ওঠেছে, তখন এই মহিলা সমাবেশ আমাদের আরও সাহস যুগিয়েছে। আজ এই সরকারের অত্যাচার থেকে মা-বোনরা রক্ষা পায় নাই। সাইবার সিকিউরিটি আইনের নামে আটক করা হচ্ছে মা-বোনদের। আজ সত্য লেখার অপরাধে মা-বোনদের পিটিয়ে মারা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এরা জনগণের নির্বাচিত নন। খালেদা জিয়া মেয়েদের দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়ার ব্যবস্থা করেছেন, চাকরির ক্ষেত্রে মেয়েদের কোটা প্রথা চালু করেছেন। আজ এ সরকার গায়ের জোরে সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে। গণতন্ত্র ও দেশ ধ্বংস করে ফেলছে। তারা মানুষের কথা চিন্তা করছে না। মানুষের দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার এরা চায় না।’