রাজধানীতে ৬ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি

রাজধানীতে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে বিজলিসহ শুরু হয় বৃষ্টিপাত। প্রায় দুইটার দিকে আকাশে বেশ কয়েকটি তীব্র বিজলি চমক দেখা যায়, সঙ্গে শোনা যায় বজ্রপাতের বিকট শব্দ।

প্রথমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি দিয়ে শুরু হলেও পরে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে।
বজ্রপাতের শব্দে ঘরে ঘরে ঘুম থেকে জেগে উঠেছেন অনেকেই। ঢাকার কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎবিভ্রাটও দেখা গেছে বলে জানা যায়।

আজ বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ৬টা পর্যন্ত মাত্র ছয় ঘণ্টায় ১৩২ মিলিমিটার (মিমি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা এই সময়ে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে ২০৩ মিলিমিটার, যা সম্ভবত এবারে ঢাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি।

এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, বুধবার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোলরুম থেকে বলছে, মধ্যরাতে বজ্রপাত ও বৃষ্টির সময় বৈদ্যুতিক খুঁটি ও দুই-একটি গ্যাস থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে তা নিভে গেছে।

পুরান ঢাকায় বসবাসকারী শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিনের মতো আজ ফজরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাচ্ছিলাম, কিন্তু বৃষ্টির কারণে ছাতা নিতে হয়েছে।

সকাল সাতটার দিকে ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, মধ্যরাতে বজ্রপাত সাথে বৃষ্টি সময় থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত ঢাকা শহরে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে সূত্রাপুর এলাকায় বজ্রপাত ও বৃষ্টির সময় একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুনে সংবাদ ছিল। এ ছাড়া সদরঘাট ও আজিমপুরে গ্যাসের আগুনে সংবাদ ছিল সেখানেও গিয়ে আগুন পাওয়া যায়নি নিভে গেছে।

এদিকে রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আজ সারাদিনই বৃষ্টি থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, এর প্রভাবেই বৃষ্টি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবীর।

তিনি বলেন, আসলে একটি গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবেই বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে বগুড়াসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে, যা ৪৪ মিলিমিটার থেকে ৮৮ মিলিমিটারের মধ্যে হলে তা ভারী বৃষ্টি বলা হয়।

বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের এই প্রবণতা ৪ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় কমবেশি থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই আবহাওয়াবিদ।