দুই জোটে টানাপোড়েন

a-lig bnp logoডেস্ক রিপোর্ট: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে অক্টোবরে। এরই মধ্যে জোট-মহাজোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। নৌকায় চড়ে এমপি-মন্ত্রী হওয়ায় ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের প্রত্যাশার পারদ ঊর্ধ্বমুখি হয়েছে। তারা এবার চায় আরো অধিক আসনের নিশ্চয়তা।

আবার খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় বিপদগ্রস্থ বিএনপির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ২০ দলের শরীক জামায়াত ও এলডিপি চায় এখনোই হোক আসন ভাগাভাগি। তাদের যুক্তি হলো-আগে থেকেই নিশ্চয়তা পেলে প্রার্থীরা নির্বাচনী এলাকায় আগাম প্রচারণা শুরু করতে পারে।

কিন্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপি কৌশলগত কারণে এখনই আসন ভাগাভাগিতে নারাজ। সামনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেটা দেখেই আসন ভাগাভাগি করতে চায়।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে জোটভুক্ত ভাবে প্রার্থী দেয়া হবে সেটা প্রায় নিশ্চিত। ভোটযুদ্ধ হবে কার্যত নৌকা আর ধানের শীষের মধ্যেই। দেশী ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির গতিধারার প্রেক্ষাপটে বোঝা যাচ্ছে এবার একপক্ষিয় নির্বাচনের সুযোগ তিরোহিত। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বি দুই জোটের আকার-আকৃতি কেমন হবে, কারা কোন জোটভুক্ত হবেন তা নিয়ে রয়েছে এখনো অনিশ্চয়তা। বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করলে আওয়ামী লীগের নের্তৃত্বে নির্বাচনী জোটের আকৃতি হবে এক রকম; বিএনপি অংশ নিলে হবে অন্য ধরণ।

এ জন্যই আওয়ামী লীগ সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছে এরশাদের জাতীয় পার্টিকে। তিনিও ‘যেমনি নাচাও তেমনি নাচো’র মতোই পুতুলের আকৃতি ধারণ করেছেন। আবার নৌকায় চড়ে নির্বাচন করার খায়েশ প্রকাশ করেছে ‘শাপলা চত্বর’ বিপ্লবের রুপকার অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজত।

অন্যদিকে খালেদা জিয়া মুক্তি-বন্দী ইস্যু, নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ, নির্বাচনী সরকারের ধরণ কেমন হবে ইত্যাদির ওপর নির্ভর করছে বিএনপির নির্বাচনী কৌশল এবং আসন ভাগাভাগি। বিএনপির নের্তৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের কলেবর বৃদ্ধি করে ৩০ দলীয় জোট গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এছাড়া আছে ছোট দলের বড় নেতাদের রাজনৈতিক জোট ‘যুক্তফ্রন্ট’এর নির্বাচনী যুদ্ধে বিএনপির সঙ্গী হওয়া না হওয়া। জোটের অভ্যন্তরে আসন নিয়ে জামায়াতের হম্বিতম্বি তো রয়েছেই। আসন ভাগাভাগিতে বিএনপিকে সবকিছ্ইু বিচার বিশ্লেষণ করতে হচ্ছে।

১৪-দলীয় জোট : বিএনপি নির্বাচনে এলে মাঠের সাইড বেঞ্চে বসে থাকা এরশাদের জাতীয় পার্টি মহাজোটগত ভাবে ভোট করবে। এ ক্ষেত্রে তারা ৭০টি আসন দাবি করতে পারে। তখন আসন বিন্যাস হবে এক ধরণের। আর যদি এরশাদ লাঙ্গল নিয়ে এককভাবে মাঠে নামে তাহলে আসন ভাগাভাগি হবে অন্যভাবে। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ ১৪-দলীয় জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চেয়ারম্যান, এইচ টি ইমামকে কো চেয়ারম্যান ও ওবায়দুল কাদেরকে সদস্য সচিব করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মোহাম্মদ নাসিমকে।

মূলত ২০০৪ সালে মাঠে আন্দোলনের মাধ্যমে ১৪ দল গঠনের উদ্যোগ শুরু হয়। নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০০৫ সালে ২৩ দফা ঘোষণা সামনে রেখে বাম প্রগতিশীল জোট ১১ দল এবং আওয়ামী লীগ, জাসদ ও ন্যাপ মিলে ১৪ দল গঠিত হয়। পরে ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম বের হয়ে গেলে অন্য দুটি দল অন্তভুক্ত হয়। বর্তমানে ১৪ দলে আওয়ামী লীগ ছাড়া রয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণআজাদী লীগ, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, বাসদ (একাংশ), জাতীয় পার্টি (জেপি), তরীকত ফেডারেশন। দুই বছর আগে জাতীয় সম্মেলনে পদ পদবি নিয়ে বিরোধে জাসদ ভেঙে দুটি আলাদা জাসদ (ইনু-শিরিন), জাসদ (বাদল-আম্বিয়া-প্রধান) গঠিত হয়। দুই জাসদই বর্তমানে ১৪ দলের শরীক।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এমন ফাঁকা মাঠে হবে ১৪ দলীয় জোটের শরীক দলগুলো বুঝতে পারেনি। কিন্তু তারা দারুন খুশি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়ায়। ‘না চাইতেই মেঘ’ প্রবাদের মতো ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে মন্ত্রী-এমপি হওয়ায় তাদের প্রত্যাশার পারদ এবার আরো উপরে উঠেছে। ঢাকায় বসে বাম রাজনীতি করায় জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।

১৪ দলের শরীক বাম দলগুলোর নেতাদের এমপি হওয়া দূরের কথা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েও জীবনে মেম্বার, চেয়ারম্যান হতে পারেনি; জাতীয় নির্বাচনে কারোই জামানত থাকে না। ৫ জানুয়ারীর বিতর্কিত নির্বাচনে ‘নৌকা’ তাদের খাই-খাই প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে। জাঁদরেল জাঁদরেল নেতারা সারাজীবন নির্বাচন করে জামাতন রক্ষা করতে পারেননি। নৌকায় চড়ে নির্বাচন করায় তারা মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন। নিজেদের আদর্শ-দর্শন জলাঞ্জলি দিয়ে এবারও নৌকার এমপি হওয়ার লোভে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের শরীকরা ৬০ আসনে প্রার্থীতা চাইলেও পেয়েছে ১৮টি। আগামী নির্বাচনে তারা চাচ্ছেন ৭০ থেকে ৮০টি আসনের নিশ্চয়তা।

এদিকে নতুন শরীক জুটেছে হেফাজতে ইসলাম। সারাদেশের আলেম-ওলামাদের ভোট নৌকায় তুলতে হেফাহতে ইসলামের সঙ্গে গাটছাটা বেঁধেছে আওয়ামী লীগ। ‘শাপলা চত্বর বিপ্লব’এর পর জোটের শরীক বামদলগুলোর বাধার মুখেও হেফাজতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলো হয়। কওমী মাদরাসা ভিক্তিক সংগঠনটির নেতারা মনে করছেন শাপলা চত্বরের মহাসমাবেশের প্রমান হয়েছে তারা খুবই জনপ্রিয়। সারাদেশে রয়েছে তাদের লাখ লাখ অনুসারী। এ জন্য তারা ভোট করলে ভাল ফলাফল করবেন। আওয়ামী লীগের জোটে থাকলে প্রতিটি আসনে নৌকার প্রার্থীরা ৩০ থেকে ৪০ হাজার করে ভোট বেশি পাবে। এ জন্য তারা ৩০টি আসন দাবী করছে। বামদের নৌকায় চড়ে মন্ত্রী-এমপি হতে দেখে হেফাজত নেতাদের খায়েশ বেড়ে গেছে। ফলে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ১৪ দলীয় জোটে টানাপোড়েন লেগে গেছে।

২০ দলীয় জোট: বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন এবং নেত্রীর মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বললেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। দলটিরা তৃর্ণমূলের নেতারা অনেক আগেই হামলা-মামলার উপেক্ষা করে সাংগঠনিক কর্মকান্ড শুরু করেছেন।

তবে আওয়ামী লীগকে কোনঠাসা করতে ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরীক বিএনপি শুধু নির্বাচনে অংশ গ্রহণের প্রস্তুতি নয়; পাশাপাশি জোটের কলেবর বৃদ্ধি করে বৃহৎ জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ লক্ষ্যে অনেক দলের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন।

গতকালও তার সঙ্গে বৈঠক করে গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী। বর্তমানে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিশ, বিজেপি, এলডিপি, কল্যাণ পার্টি, জাগপা, এনপিপি, এনডিপি, লেবার পার্টি, ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাপ ভাসানী, মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, পিপলস লীগ, ডেমোক্রেটিক লীগ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ও সাম্যবাদী দল। ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে চারদলীয় জোটের পরিসর বাড়িয়ে ১৮-দলীয় জোট গঠন করে বিএনপি। পরে কাজী জাফর আহমদের জাতীয় পার্টি ও দীলিপ বড়ুয়াকে বহিস্কার করে সাম্যবাদী দলের একাংশ বিএনপি জোটে যোগ দেয়।

২০ দলীয় জোটের শরীক ১৮ দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে তেমন সমস্যা নেই। ছোট দলগুলোর নেতারা বেগম জিয়ার উপর সর্বময় দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু বেঁকে বসেছে জামায়াত। নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন বাতিল হওয়া দলটি ‘পর্দার আড়ালে’ ভিন্ন খেলা খেলছে। এমনিতেই দলটির প্রতি দেশ বিদেশে বিরুপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিএনপির ওপর চাপ রয়েছে জামায়াতকে বের করে দেয়ার। কিন্তু ভোটের হিসেব দেখলে কৌশলগত কারণেই ২০ দলীয় জোটে দলটির গুরুত্ব কম নয়। প্রতিটি সংসদীয় আসনে দলটির ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার পর্যন্ত ভোট রয়েছে। সে জন্যই বিএনপির নেতারা চাচ্ছেন রাজনীতির বৃহৎ স্বার্থে জামায়াতকে কাছে রাখতে।

বিএনপির ভাষায় জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনী জোট। তাদের সঙ্গে বিরোধ নেই দূরত্বও বাড়েনি। বিএনপির দুর্বলতার সেই সুযোগ নিয়েই দলটি আসন ভাগাভাগি নিয়ে হম্বিতম্বি করছে। ইতোমধ্যেই সিলেট সিটি কর্পোরেশন দলটি ২০ দলীয় জোটের বাইরে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে। তাকে বিক্ষুব্ধ হয়েছে ২০ দলীয় জোটের অন্যান্য শরীকরা।

আসন ভাগাভাগিতে শুধু জামায়াত সমস্যা নয়, বিএনপি জোটের পরিধি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের চেয়ে বিএনপিতে দল ভারী করাই এর মূল উদ্দেশ্য। বেশ কিছু সমমনা ও মধ্যপন্থী দলের সঙ্গে কথাবার্তাও হচ্ছে। আবার বি চৌধুরীর বিকল্পধারা, ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম, আবদুল কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতালীগ, আ স ম আবদুর রবের জাসদ, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য নির্বাচনী জোটভুক্ত করার আলোচনাও চলছে। সেখানে আসন ভাগাভাগির ব্যাপার রয়েছে। এ ছাড়াও সিপিবি, বাদসসহ আরো কয়েকটি দল রয়েছে যারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়ার পক্ষ্যে।

সাইড বেঞ্চার এরশাদ: দেশের রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ‘নাচের পুতুল’ হওয়ায় নির্বাচনে এরশাদ মূলত সাইড বেঞ্চার হয়ে গেছেন। রাশিয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা চলছে। প্রতিটি দলে রয়েছে ২৩ জন করে খেলোয়াড়। খেলার সময় ১১ জন মাঠে খেলেন আর ১২ জন থাকেন মাঠের বাইরে সাইড বেঞ্চে বসে। কোচ যদি মনে করেন তাদের কাউকে বদলী খেলোয়ার হিসেবে মাঠে নামাবেন তাহলেই তারা কেবল খেলতে পারেন। এরশাদের অবস্থা সে রকমই। এরশাদ আসন্ন নির্বাচনে কিভাবে অংশ গ্রহণ করবেন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা তার নেই। অন্যেরা তাকে সে নির্দেশনা দেবে। ভোটের মাঠে খেলার জন্য এরশাদ ৫৮টি দলের সমম্বয়ে ‘ঢাউস’ জোট গঠন করেছেন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৩শ আসনে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে তিনি কিভাবে নির্বাচনী যুদ্ধে খেলবেন তা নিজেও জানেন না। তিনি নিজেই বলেছেন বিএনপি নির্বাচনে না এলে একক ভাবে তিনশ আসনে প্রার্থী দেবেন। বিএনপি ভোটে এলে মহাজোটের শরীক দল হয়ে ভোটের মাঠে নামবেন। এ জন্য তিনি ৭০টি আসন দাবি করবেন।

বিকল্প জোটের ভাবনা: বি চৌধুরীর বিকল্প ধারা, আ স ম আবদুর রবের জেএসডি, কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য মিলে ইতোমধ্যেই ‘য্ক্তুফ্রন্ট’ গঠন করা হয়েছে। এই ফ্রন্টে ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের অন্তভূক্তির কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত দলটি আসেনি। এখনো বিক্ষিপ্ত ভাবে রয়েছে ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন গণফোরাম, সিপিবি, বাসদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাম মোর্চা। যদিও সিপিবি-বাসদ ও বাম মোর্চাগুলো জোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আবার ব্যারিষ্টার নাজমূল হুদার নের্তৃত্বে বিএনএ রয়েছে ৩১টি দল। সব মিলিয়ে বোঝা যায় জোট-মহাজোটে আসন ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়ে গেছে।

তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০ দলীয় জোটে কোনো টানাপোড়েন নেই। স্থানীয় নির্বাচনে যে কেউ অংশ নিতে পারে। সেটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আর জোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনো আলোচনাই শুরু হয়নি। অতএব বিরোধ বা টানাপোড়েন নেই।

১৪ দলীয় জোটের আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৪ দলের যেখানে যে দলের প্রার্থী জনপ্রিয় এবং নির্বাচিত হতে পারবেন সেখানে তাকেই প্রার্থী করা হবে। গতকাল পটিয়া বাইপাস সড়কের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে বলেন, বিএনপি যতই রঙিন খোয়াব দেখুক না কেন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০০১ সালের মতো নীল নকশার নির্বাচন বাংলাদেশে আর হবে না। নির্বাচন নির্বাচনের মতোই হবে। সূত্র: ইনকিলাব