শতবছরের পুরোনো ইতিহাস যেন নতুন করে মনে উঁকি দিচ্ছে। একই পথে পুনরায় চলাচল শুরু করবে টাইটানিক। মাত্র চার বছর পর অর্থাৎ ২০২২ সালে শীতল আটলান্টিকের বুক চিড়ে ভেসে চলবে ঐতিহাসিক বিলাসবহুল এই জাহাজ। পুরোনো পথেই এটি চলাচল করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার একটি সংস্থা।
অস্ট্রেলিয়ার ব্লু স্টার লাইন নামের ওই সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে সে ঘোষণা করেও ফেলেছে। তারা বলছে, আগামী ২০২২ সাল থেকে টাইটানিক-২ নামের একটি বিলাসবহুল জাহাজ যাত্রা শুরু করবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া জাহাজ টাইটানিকের আদলে গড়া এ জাহাজটি পুরোনো পথ অর্থাৎ ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চলাচল করবে। তবে গোটা বিশ্বের মানুষের আগ্রহ থাকায় বিভিন্ন মহাদেশের উপকূলেই জাহাজটি ভিড়বে।
এ জাহাজটির যাত্রীবহন ক্ষমতা হবে প্রায় আড়াই হাজার। এখানে থাকবে প্রথম শ্রেণির মোট ৮৩৫টি কেবিন। এছাড়াও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ইঞ্জিন আর র্যাডার থাকবে জাহাজটিতে। বিশ্বের যেকোনও প্রান্তের মানুষ টিকিট করে যাতায়ত করতে পারবেন এ জাহাজে।
তবে দুর্ঘটনা এড়াতে এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টাইটাটিক-২ তে থাকবে প্রচুর পরিমাণ লাইফবোট, আধুনিক রাডার ও অন্যান্য দিকনির্ণায়ক যন্ত্র।
অস্ট্রেলিয়ার ব্লু স্টার লাইন নামের ওই সংস্থার প্রধান ক্লাইভ পামার বলেন, ‘টাইটানিক-২ নামের এ জাহাজটি পুরোনো পথেই চলাচল করবে। তবে মানুষের রহস্য ও কৌতূহল উন্মোচন করতে পুরো পৃথিবী প্রদক্ষিণ করবে এটি।’ এই জাহাজ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের পুনর্মিলন ও শান্তি স্থাপনে কাজ করবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯১২ সালে আটলান্টিক মহাসাগরে হিমবাহের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল টাইটানিক। ২ হাজার ২০০ জন যাত্রী নিয়ে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের পথে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পরে জাহাজটি। তারই স্মৃতি ধরে রাখতে এ জাহাজ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।