যশোরে চিন্তা মজুমদার (২৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়ছে। তিনি শহরতলীর শেখহাটি কালীতলা এলাকার নরহরী মজুমদারের স্ত্রী। পিতৃপক্ষের অভিযোগ তাকে যৌতুকের টাকার জন্যে হত্যা করা কয়েছে। তবে স্বামীর পরিবারের দাবি, সাংসারিক বিরোধের জেরধরে গলায় ফাঁসদিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
মৃতের ভাই নিত্য সোম জানিয়েছেন, ১০ বছর আগে শহরের সিটি কলেজ পাড়া এলাকার নারায়ন সোমের মেয়ে চিন্তার সাথে শেখহাটি কালীতলা এলাকার নরহরী মজুমদারের বিয়ে হয়। সাংসাদিক জীবনে তাদের ঘরে অথই (৭) ও জবা (২) নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় কোনো দাবি না থাকলেও বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্যে প্রায় সময় নরহরী ও তার পরিবার স্ত্রী চিন্তাকে নির্যাতন করে আসছিলো। মেয়ের সুখের কথা ভেবে নারায়ন সোম বিয়ের পর জামাইকে দু’লাখ টাকা দিয়েছেন। এমনকি পাঁচ মাস আসেও নরহরীকে ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে হয়েছে। বুধবার নরহরী স্ত্রী চিন্তাকে বাপের বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়ে আসতে বলে। স্ত্রী আর বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকার করলে তাদের স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ হয়। দিবাগত রাত দেড় টার দিকে নরহরী এলাকায় প্রচার করে তার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা চিন্তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এম আব্দুর রশিদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এম আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনবার আগেই চিন্তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে গলায় ফাঁস দিয়েছিলো ওই রোগী। ময়নাতদন্তের জন্যে লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
মৃতের ভাই নিত্য সোম অভিযোগ করেছেন, তার বোন গলায় ফাঁসদিয়ে আত্মহত্যা করেনি। স্বামী ও তার পরিবার যৌতুকের টাকার জন্যে পরিকল্পিত ভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।
কোতয়ালী থানার এস আই সোবহান শরীফ জানিয়েছেন, মৃতের পিতার পরিবার হত্যার অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েঠে। মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।