পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা ব্যথা নিরসনে যা করবেন

মেয়েদের মাসিক শুরু হওয়ার পর তার কাউন্সেলিং-এর পাশাপাশি অন্তত ছয় মাস তাকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে- বলছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের অধ্যাপক শিউলী চৌধুরী। বিবিসি বাংলা

“এটি জীবনের শুরুতে মাসিকের ভয় কিংবা মাসিক সংক্রান্ত সমস্যা কাটিয়ে ওঠে এর সাথে মেয়েদের মানিয়ে নিতে সহায়তা করবে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

আর স্বাস্থ্যকর মাসিকের উপর গুরুত্ব দিয়েই আজ শুক্রবার ২৮শে মে পালিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড মেন্সট্রুয়াল হাইজিন ডে বা বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবস।

ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সালমা বেগম বলছেন মাসিকের শুরুটা অনেক মেয়ের কাছেই ভয়ের হয় যার রেশ জীবনের অনেকদিন ধরেই অনেক মেয়েকে বহন করতে হয়।

“আমরা এসব বিষয়ে কথা বলার বা কারও পরামর্শ নেয়ার সুযোগ পাইনি। কারণ মাসিকের বিষয়ে ঘরে বাইরে কথা বলাটা কিছুদিন আগেও ছিলো কঠিন। মা যেটুকু বলেছে তাই জানতাম শুরুতে। সেখানে হাইজিন ধারণাটাই ছিলো না। অথচ নিজেও কষ্ট করেছি। আবার বন্ধুদের কয়েকজনকে দেখেছি প্রচণ্ড ব্যথা কিভাবে সহ্য করতো। কিন্তু কেউ এটিকে গুরুত্ব দিতো না,” বলছিলেন তিনি।

মূলত মাসিকের সময় অতিরিক্ত ব্লিডিং বা রক্তক্ষরণ অনেক মেয়ের জন্যই কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়ায়। আবার কেউ কেউ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন তলপেটে।