মহানবীকে কটূক্তি করায় ভারতকে ক্ষমা চাইতে হবে, যশোরে বিক্ষোভ

বিশ্ব নবী হজরত মুহাম্মদ স. এবং হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. সম্পর্কে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি নেতা নূপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দালের অশালীন, কুৎসিত ও বাজে মন্তব্যের প্রতিবাদে যশোরে তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। শনিবার জেলা ইমাম পরিষদের স্মরণকালের বৃহৎ বিক্ষোভের পর রোববার যশোর খুলনা বাসস্ট্যান্ড মসজিদ চত্ত্বরে ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে আরেকটি বড় জমায়েতের আয়োজন করা হয়। সংগঠনটির যশোর জেলা শাখা আয়োজিত বিক্ষোভ-সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়ে নবী করীম স. ও সাহাবীদের অবমাননার সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান।

সংগঠনের জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মিয়া মো. আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারি সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা মো. শোয়াইব হোসেন।

সংগঠনটির জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম মহসীন ও মুফতি আবুজর গিফারীর যৌথ পরিচালনায় মিছিলপূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন যশোর জেলা শাখার প্রচার ও দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল বাশার, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম, সহ অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল আহাদ মানিক, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা শফিকুর রহমান, সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক ক্বারী আব্দুল কাদেও, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, শিক্ষা সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মোখলেছুর রহান, মো, শহিদুল হক, মুফতি মঈন উদ্দীন, গাজী শহিদুল ইসলাম, মাস্টার ইদ্রিস আলী প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের প্রিয় নবী স. কে নিয়ে যে কটূক্তি করেছে তা গোটা বিশ্বের মুসলমানদের কলিজায় আঘাত করেছে। এ ঘটনা কোনো সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না। এজন্য পৃথিবীর মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মুসলিম রাষ্ট্রগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। অথচ আমাদের মতো ৯০ শতাংশ মুসলামানের রাষ্ট্রে এখনো পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে এর বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা হচ্ছে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রাসুলকে অবমাননা করবে আর তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে কোনো লাভ হবে না। দেশের তৌহিদী জনতা আজ রাজপথে নেমে এসেছে। তাই সরকারের উচিৎ চলমান সংসদেই এ বিষয়ে নিন্দা প্রস্তাব এনে আল্লাহ, নবী ও সাহাবীসহ ইসলামের বিরুদ্ধে অবমাননা কারীদের বিচারের জন্য আইন প্রণয়ন করা।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মুসলমানরা তাদের নবী স. কে জীবনের চেয়ে বেশি ভালো বাসেন। এজন্য এ অপমান কোনোভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত ভারতের ওই দুই কুলাঙ্গারের বিচার না হবে এবং ভারত সরকার গোটা পৃথিবীর মুসলামানদের কাছে ক্ষমা না চাইবে ততক্ষণ না পর্যন্ত তৌহিদী জনতার এ আন্দোলন চলবেই।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের আরএন রোড হয়ে দড়াটানা মোড়ের দিকে আসে। এসময় দীর্ঘ মিছিলে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীর নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর, আমার নেতা -তোমার নেতা বিশ্ব নবী মোস্তফা, ইসলামের শত্রুরা-হুশিয়ার সাবধান ইত্যকার স্লোগানে গোটা যশোর প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।