বস্ত্র

নারী তোমার নগ্ন বসনে তেজিবে পুরুষ সত্য
তবুও তুমি অধিকার নামে বিবস্ত্রতেই মত্ত।
নারীর বস্ত্র পুরুষ খুলিলে ধর্ষণ বলো তাকে
নিজের বস্ত্র নিজেই খুলিলে এ দোষ দিবে কাকে?
ধর্ষকের বিচার দাবিতে সমাজ দিলাম রুখিয়া
আমিও আজ ধর্ষক হই,তোমার উদর বক্ষ দেখিয়া।
নগ্ন কোমরে আবির মাখিয়া কথা কহ রাজপথে?
বসন ঠাকুর হাসিছেন আজই চড়িয়া নগ্ন রথে।
মুক্তির নামে নিজগৃহ খোদ,বানাইয়া বেশ্যালয়
তোমার পতীও ধর্ষক হইবে,পতিতা করিবে জয়।
বেশ্যা তোমার শরীর না,বেশ্যা আমার মন
বুঝাইতে কী চাহিয়াছো তুমি করিয়া অনশন?
মোর সমাজে অপয়া, নারী অধর্মের যতো মূলে।
পুরুষ সুযোগ লইবে তোমার অপকর্মের ভুলে।
তোমার বস্ত্রে বাধা দেবো? সে অধিকার মোর কই?
সমাজ থেকে উঠাইয়া নিলাম সকল কালের সকল ধর্ম বই।
নারী তুমি শাড়ির সখী,তোমার শাড়িতে পুরুষ মগ্ন
তাই বলিয়া শাড়ি খুলিবে? সমাজ করিয়া নগ্ন?
পদ,পশ্চাৎ,নিতম্ব আর উদর বক্ষ মুখে
বস্ত্র দাও মা বসন দাও তুমি,নতুবা মরবে ধুকে।
স্বল্প দৈর্ঘ্য, অল্প ব্যাপ্তি, এটাই নারীর বেশ?
বেশ থেকে বেশ্যা জন্মে,আজীবন বহে রেশ।
সাম্যের গান গাই,
এ সমাজে হাই নারী পুরুষের,
কোনো ভেদাভেদ নাই।
বিশ্বে যা কিছু সৃষ্ট চির মহা কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।
কল্যাণের এ কি রূপ দিলে?সভ্যতারই জীবন নিলে?
তোমার পুত্র এই সমাজেই,ধর্ষক হইবে তিলে তিলে।
বস্ত্র দে মা বসন দে তুই, আবরিত কর দেহ
দেখ চেয়ে দেখ সতীই সবাই,ধর্ষিতা নই কেহ।
তোর পোষাকের বাকযুদ্ধে আমি হইতে চাইনা বীর।
আমিও নই ফেরেশতা কোনো,নই কোনো সাধু পীর।
তোর কোলেরই সন্তান মা,অন্য ঘরে রই
তুইও তো মোর আরেক মা, তোরে পতিতা কেমনে কই?
বস্ত্র দে মা বসন দে তুই,আমি ধর্ষক হবো না রে!
আমিও যে চাই সবাই ডাকুক ‘মা’ নামে নারী তোরে!