ধর্মতন্ত্র

ব্রহ্মা,বিষ্ণু মহাদেব বিভেদ কি আর হয়?

সৃষ্টি করেন, পালন করেন সেইতো করেন লয়।

হিন্দুয়ানীর গন্ধে একা ব্রহ্ম নিরাকার

সেই এক অদ্বিতীয় স্রষ্টায় আঘাত কেনো করো বারেবার?

আমার মাথায় টুপি দাড়ি, তোমার বসনে ধুতি

শাখা,পলা,সিদুর মাথায় দিলেই অশুচি?

ওরে ধর্মের কি এই নীতি ? গ্রন্থ শেখায় ভেদ?

তোদের কাছে বৃথা সকল কুরান পুরান বেদ।

জাত মেরে দিস জাতের দোহায়? বিচার কি তোর জাতে দেবে?

যেই ব্রহ্ম সেই আল্লাহ,এক স্রষ্টায় তোর হিসাব নেবে।

মোল্যা পুরুত যত আছে সাজ,ভেতরে তো সবকিছু এক।

ওরে পিশাচ তুইও মানুষ, দেখ খোদ হৃদয় কেটে দেখ।

এতো কেনো তবে হিংসা বিবাদ? দেবীর বোধন কর।

ওরে মুসলিম ওরে হিন্দু, তোরা শান্তির বানী ধর।

ওরে কে দেয় ঐ মূর্তিরে ঘা, মসজিদে দেয় তালা,

ধর ধর সেই বেধর্মীকে, ওর বক্ষে আগুন জ্বালা।

তোরা দেবীর বোধন কর,আমরা মসজিদে মাথা ঠুকি,

দেখ চেয়ে দেখ স্বর্গ নরক, ধরাতেই দেয় উকি।

মহালয়ায় প্রার্থনা হবে, জুম’আ তে হবে দোয়া ।

স্রষ্টা যেন ক্ষমা করে সব, সৃষ্টিরা মাথা নোয়া।

কে দেয় ঐ হিন্দুরে গালি?কে মারে মুসলমানে?

তার মুখে দে চিতার আগুন, গেড়ে দে গোরস্থানে।

কে বলে মোরে কাফের?কে বলে মোরে ভণ্ড?

মোল্যা,পুরুত,ফাদার,বুদ্ধ সবাই পাবে দণ্ড।

মসজিদে,মন্দিরে কিংবা গির্জা প্যাগোডায়

চর্চা হবে শান্তির শুধু, হবে ভণ্ডের পরাজয়।

ধর্মের নামে সৃষ্টি মেরে, স্রষ্টারে দিস বলি?

ধর্মের কি রূপ আছেরে? ত্রেতা কিংবা কলি?

মন্দিরে হোক ধুপের ধোঁয়া, গাও শাস্ত্র প্রতিদিন

ভোরের বাতাসে শান্তির বানী ছড়াও মুয়াজ্জিন।

— মুস্তাকিম বিন জামান৷