বেতন-ভাতা না পেয়ে দারুল আরকাম মাদরাসায় শিক্ষক-কর্মীদের জেলা প্রশাসকে কাছে স্মারকলিপি

যশোরে দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অফিস সহায়ক কর্মীরা দ্রুত বেতন-ভাতা দেয়া ও প্রকল্প অনুমোদনসহ চার দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। গতকাল বেলা ১১ টায় যশোর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তারা স্মারকলিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম স্মারকলিপি গ্রহণ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ধর্ম মন্ত্রণালয় দেশের প্রতি উপজেলায় দুটি করে ১০১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে। প্রথমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিশু ও গণশিক্ষার অধীনে মাদ্রাসাগুলো পরিচালিত হতো। পরবর্তীতে ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ‘দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা স্থাপন ও পরিচালনা’ নামে আলাদা প্রকল্প করা হয়। সেই থেকে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চলছে। প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মরতদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ হতো। ২০২৪ সালে প্রকল্পের প্রথম পর্যায় শেষ হলেও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাদ্রাসাগুলো চলানোর নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী ২০২৫ সালে শিক্ষার্থী ভর্তি করে পাঠদান করা হচ্ছে। অর্থাৎ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অফিস সহায়ক কর্মীগণ নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তারা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।
বাঘারপাড়ার বাররা দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক রিদওয়ানুল ইসলাম বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অফিস সহায়ক কর্মীরা মাদ্রাসায় দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু বেতন-ভাতা না পাওয়ায় মানবেতন জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

দারুল আরকাম শিক্ষক কল্যাণ সমিতি যশোরের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শাহীনূর রহমান জানান, প্রকল্পের ২য় পর্যায় অনুমোদনে গড়িমসি করা হচ্ছে। ফলে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে যশোরের ৪৮জনসহ সারা দেশে ৩ হাজার ৩০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অফিস সহায়ক কর্মী বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। লক্ষ লক্ষ অভিভাবক, শিক্ষার্থী, জমিদাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ হতাশায় দিনাতিপাত করছেন। এ বিষয়ে সমাধানের জন্য তারা চারটি দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন।
এগুলো হলো দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা পরিচালনা ও সু-সংহতকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) পূর্বের নাম ও ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত বহাল রেখে দ্রুত অনুমোদন করা। আসন্ন ঈদুল আযহার পূর্বে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অফিস সহায়ক কর্মীগণের বকেয়াসহ জানুয়ারি থেকে ৫ মাসের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করা। কর্মরতদের ২য় পর্যায়ে স্ব
সংক্রিয়ভাবে নিয়োগ বহাল এবং প্রকল্পের ১ম পর্যায়ে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন-বোনাসসহ এক বছরের বকেয়া পরিশোধ করা।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় যশোরের ১৬টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অফিস সহায়করা উপস্থিত ছিলেন