প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, গত ১৫ বছর বলা হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ অথচ সেটা ডিজিটাল বাংলাদেশ না হয়ে হয়েছে কিছু ডিজিটাল আইল্যান্ড। আইল্যান্ডগুলোর মধ্যে ইন্টার কানেক্টিভিটি তৈরি করা হয়েছে।
রোববার রাজধানীর ভূমি ভবনের সেমিনার কক্ষে ভূমি মেলা-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়েজ আহমদ বলেন, বাংলাদেশের সেবাগুলো ট্রান্সফরমেশনের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে বেশ এগিয়ে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিচ্ছিন্ন ডিজিটাল সার্ভিস এখন একটি জায়গায় পাওয়া যাবে; এর মাধ্যমে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন গতি পাবে । এ ট্রান্সফরমেশনকে দুই ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। একটি হলো মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলোর ট্রান্সফরমেশন, দ্বিতীয়টি হচ্ছে নাগরিক সেবা নামে একটি প্ল্যাটফর্ম। এই নাগরিক সেবার নামটি প্রধান উপদেষ্টা নির্ধারণ করেছেন।
তিনি বলেন, ভূমি জরিপ কাজ জিপিএস ও জিও ফেন্সিংয়ে হয়ে যাবে এবং জমির মালিক চাইলেই জরিপ কার্য গুগল আর্থে দেখতে পারবে। পরবর্তী স্টেজে এই জরিপের সঙ্গে ভূমির মালিকানার ম্যাপিং, কোনো মামলা আছে কিনা- থাকলে মামলার বর্তমান অবস্থা ও রাজস্ব আদায়ের তথ্য সংযুক্ত থাকবে। অর্থাৎ একটা সিঙ্গেল গেটওয়েতে বসে ভূমির ডিজিটাল ম্যাপের সঙ্গে তার মালিকানাসহ বর্তমান অবস্থা দেখা যাবে। আর এই কাজটি করতে পারলে সেটিই হবে প্রকৃত ডিজিটালাইজেশন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) এজেএম সালাউদ্দিন নাগরী, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মুহম্মদ ইবরাহিম।
আলোচনার শুরুতে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) মো. এমদাদুল হক চৌধুরী ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর উপস্থাপনা করেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দিক, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও অন্যান্য অতিথিরা ভূমি জাদুঘর এবং মেলার স্টল পরিদর্শন করেন।