রোডমার্চে বাধা দিলে যে পরিকল্পনা বিএনপির

bnp logo

বিএনপির রোডমার্চ আজ বৃহস্পতিবার সিলেট অভিমুখে রওয়ানা হবে। রোডমার্চকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সিলেট বিএনপি ছাড়াও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ। তারা গত এক সপ্তাহ ধরে মিছিল-সমাবেশে করছেন। ঘন ঘন রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসছেন দায়িত্বশীল নেতারা।

তবে সিলেটের সর্ববৃহৎ সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশের অনুমতি গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেয়নি পুলিশ। ফলে মাঠে কোনো মঞ্চ তৈরী করেনি বিএনপি।

বিএনপির দায়িত্বশীল এক কেন্দ্রীয় নেতা যুগান্তরকে জানান, অনুমতি নিয়ে আন্দোলন করা, বাধা দিয়ে আন্দোলন দমানো এসব এখন অনেকটা অতীত। মাঠ-মাটি না পেলে ভ্রাম্যমান ট্রাকে মঞ্চ করব, সমাবেশ করব। তারপরও কর্মসূচি পালন করবোই।

অনুরূপ আভাস দিয়েছেন সিলেটের একাধিক শীর্ষ দায়িত্বশীল নেতারাও।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, রোডমার্চে আগত নেতাকর্মীদের স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুত। নগরজুড়ে দুদিন ধরে মাইকিং চলছে। সমাবেশে জনতার ঢল নামবে। তবে পুলিশ প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে না বলে জানান তিনি।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাপক প্রচারণা হচ্ছে। বিএনপির ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রস্তুতিমূলক বৈঠক, গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ, মাইকিংসহ প্রচারণামূলক নানা কর্মসূচি পালন করছেন।

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন গতকাল সন্ধ্যায় জানান, আমরা পুলিশের কাছে লিখিত দিয়েছি। প্রচারণা ও মাঠের সমাবেশের ব্যাপারে। প্রচারণায় যেহেতু কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না সমাবেশেও বাধা আসবে বলে মনে হয় না। আর সমাবেশে এখন আগের মতো তেমন বাধা দেওয়া হয় না।

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী গতরাত বলেন, রোডমার্চকে স্বাগত জানাতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। রাতেই আলীয়া মাঠ পরিদর্শনে যাবো। সকালে মঞ্চ তৈরী শুরু হবে। এতে কোনো বাধা আসলে বিকল্প মঞ্চের ব্যবস্থা করবো।

বিএনপি পরিবারের এসব বড় ইভেন্টে অভিভাবকের মত সবকিছু মনিটরিং করে থাকেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের আহবায়ক মো. আব্দুর রাজ্জাক। এবারও তাই করছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক। তিনি বলেন, রোড মার্চ-সমাবেশ সবই হবে। বাধা আসলে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাঠের মঞ্চ ট্রাকে উঠবে এটুকুই।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ, বিপিএম (বার), পিপিএম গতরাত বলেন, কোনো বিশৃংখলা না হলে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ বাধা দেয় না। আর মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবারই আছে।

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার হয়ে সিলেট পৌছাবে বিএনপির এই রোডমার্চ। রোডমার্চ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর। রোডমার্চ চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়ে, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং মৌলভীবাজারের শেরপুরে সমাবেশ হবে।