রিং পরানোর পর ভালো আছেন বুলবুল

ahamed imteas bulbulবিনোদন ডেস্ক: বরেণ্য সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের হৃদযন্ত্রে দুটি রিং পরানো হয়েছে। শনিবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসক আফজালুর রহমানের তত্ত্বাবধানে বুলবুলের হৃদযন্ত্রে রিং স্থাপন করা হয়।

এ বিষয়ে বুলবুলপুত্র সামির বলেন, গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসকের পরামর্শে বাবাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেছি। এরপর তাদের পরামর্শ অনুযায়ীই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলে। তারপর গত শনিবার বাবার হৃদযন্ত্রে দুটি রিং পরানো হয়েছে। রিং পরানোর পর বাবা ভালো আছেন। তবে চিকিৎসা আরো চলবে। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বুলবুলের হৃদযন্ত্রে ৮টি ব্লক ধরা পড়ে। তার শারীরিক অবস্থার কথা জানতে পেরে চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালকের নেতৃত্বে একটি দল ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল যায় বুলবুলকে দেখতে। এরপর তাকে ভর্তি করা হয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। সেখানে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা বুলবুলের বাইপাস সার্জারি না করে হার্টে রিং পরানোর সিদ্ধান্ত নেন। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৬ই মে ফেসবুকে তার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে একটি পোস্ট দেন।
সেই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, আমি এখন ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পাহারায় গৃহবন্দি থাকি একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। এ এক অভূতপূর্ব করুণ অধ্যায়। একটি ঘরে ছয় বছর গৃহবন্দি থাকতে থাকতে আমি আজ উল্লেখযোগ্যভাবে অসুস্থ। আমার হার্টে আটটা ব্লক ধরা পড়েছে এবং বাইপাস সার্জারি ছাড়া চিকিৎসা সম্ভব না।

উল্লেখ্য, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ৭০ দশকের শেষের দিক থেকে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগীতে সক্রিয়। ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ ছবিতে সংগীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন তিনি। অসংখ্য অ্যালবামের কাজ ও চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন এ বিশিষ্ট সুরকার ও সংগীত পরিচালক। ‘সব ক’টা জানালা খুলে দাও না’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘তুমি আমার জীবন’, ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন’সহ অসংখ্য কালজয়ী গানের গীতিকার ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বুলবুল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সংগীতে অবদানের জন্য তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন।