রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। দুই সিটির সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। সিসি ক্যামেরায় ঢাকায় বসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন সিইসিসহ কমিশনের সদস্যরা।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থী চারজন। তাঁরা হলেন- আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। বরিশাল সিটি নির্বাচনের পর ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী নির্বাচন বয়কট করেছেন।
সংসদ ভোটের আগে বড় ‘পরীক্ষা’ হলো না ইসির
২৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১১ জন। একটি ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৪৬ জন প্রার্থী। একজন হিজড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী। এখানে ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এ ছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ছয়জন।
১৫৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। ইভিএম মেশিন রয়েছে ১ হাজার ৭৩০টি। ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে আছেন ৩ হাজার ৬১৪ জন কর্মকর্তা।
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থী আটজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা), জাকের পার্টির প্রার্থী মো. জরিহুল আলম (গোলাপ ফুল)। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো. শাহ জাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
৪২টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ২৯৪ জন। ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এখানে ভোটার ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন, মহিলা ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। এর আগে গত ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচনে এবং ২৫ মে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি নির্বাচনেও সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়।